বোলারদের হতাশ করে পালেকেল্লের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও দাপট দেখাচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা। আর দ্বিতীয় টেস্টে এমন উইকেট দেখে হতাশা প্রকাশ করে বোলারদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ জন লুইস।
প্রথম টেস্টে পুরোপুরি ব্যাটিং সহায়ক উইকেট বানানোর জন্য শাস্তি হিসাবে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছে পালেকেল্লের উইকেট। তবে তাতেও পরিবর্তন হয়নি পরিস্থিতি। দ্বিতীয় টেস্টের উইকেটেও বোলারদের জন্য কিছুই রাখা হয়নি। তাই ভালো বল করেও উইকেটের দেখা পাননি বোলাররা।
তবে সারা দিনে মাত্র একটি উইকেট পাওয়ার পরেও বোলারদের দোষ না দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ। দিন শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জন লুইস জানিয়েছেন এমন উইকেটে পাঁচ বোলার নিয়ে খেলার সিদ্বান্তটাও তাই যৌক্তিক ছিল।
তিনি বলেন, ‘হতাশার হলেও বোলারদের প্রতি আমার সহানুভূতি রয়েছে। তাদের প্রচেষ্টাকে দোষ দেওয়া যায় না। উইকেটে বোলারদের জন্য সহায়ক কিছু নেই। আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের পাঁচ বোলার রয়েছে। এই সিরিজে আমরা পাঁচ জন বোলার নিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখনও পর্যন্ত সার্বিক দিক বিবেচনা করলে এটি একটি ভাল সিদ্ধান্ত ছিল।’
দিনের শুরুতেই দারুণ আঁটসাঁট বোলিং করে শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার দ্বিমুথ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নেকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। এরপরই কয়েকটা ক্যাচ মিস করে উজ্জীবিত বোলিংয়ের বাঁধন আলগা হয়ে যায়। তবে উইকেট না পেলেও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে বোলাররা।
শ্রীলঙ্কাতে এখন প্রচুর গরম। এই গরমেও পেস বোলাররা ধারাবাহিক ভাবে ভালো বল করা ও পেসারদের সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করা দেখে সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করেছেন জন লুইস। ব্যাটিং কোচ মনে করেন এই পেসাররা সব সময়ই শিখছে। তবে তিনি জানিয়েছেন টেস্ট ম্যাচ সম্পর্কে বাংলাদেশ শিখছে না, তাই টেস্ট জেতা উচিত বাংলাদেশের।
লুইস বলেন, ‘আবহাওয়া আমাদের একটু দূর্বল করেছে। এখানে অনেক গরম। ছেলেরা যেভাবে দায়িত্ব পালন করছিল তাতে আমি মুগ্ধ। তবে আমাদের সদ্য টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু করা বেশ কয়েকজন ছেলে রয়েছে, বিশেষ করে পেসার। তারা প্রতিনিয়ত শিখছে, তবে আমরা টেস্ট জিততে চাই। টেস্ট ম্যাচ সম্পর্কে আমরা শিখছি না।’
প্রথম দিন শেষে এক উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা। করুনারত্নে ১১৮ রান করে আউট হয়ে গেলেও ১৪০ রান করে অপরাজিত রয়েছেন থিরিমান্নে।