শঙ্কা ঠেলে সহজ জয়

গত একবছরে বল হাতে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পারফর্মার তাসকিন আহমেদ। অথচ সেই তাসকিনকে ছাড়াই মাঠে নামার সাহস দেখিয়েছে বাংলাদেশ। কঠিন এই সিদ্ধান্তটা তামিম নিয়েছেন স্পিন উইকেটের সুবিধা কাজে লাগানোর জন্য।

ফলে স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেকের কপাল খুলেছে। এতে করে সাফল্যও এসেছে। এই স্পিন ত্রয়ীই তুলে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আট উইকেট।  আর ওয়ানডে ফরম্যাটে এসে বাংলাদেশও অবশেষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল।

টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দুই সিরিজেই বাংলাদেশ হেরেছে। বলা ভালো দুই ফরম্যাটে কোন ম্যাচই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তবে নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডে ফিরতেই আবার টাইগারদের জ্বলে উঠা। এই ফরম্যাটে যেন তামিমদের শরীরি ভাষাই বদলে যায়। যদিও সিরিজ শুরুর আগে শঙ্কা ছিল যথেষ্ট।

কেননা ওয়ানডে দলের দুই অভিজ্ঞ সেনানি সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম খেলছেন না। এছাড়া মিডল অর্ডারের ব্যাকআপ হিসেবে থাকা ইয়াসির আলী রাব্বিও হঠাত ইনজুরিতে পড়ে যান। ফলে ব্যাটিং লাইন আপ সাজানোই কঠিন হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশের জন্য। ব্যাটিং এর সেই ঘাটতি পূরণ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে স্পিনাররা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কোন চ্যালেঞ্জেই পড়তে দেয়নি। দুই ম্যাচেই দ্রুত গুটিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।

আর বাংলাদেশের এই বোলিং লাইন আপকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সাথে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন নাসুম আহমেদ। প্রথম ম্যাচেও করেছিলেন দারুণ বোলিং। তবে সেদিন কোন উইকেট পাননি।  আজকেও নাসুমের বোলিংয়ে একই ধার। তবে আজ সংখ্যায়ও সাফল্য মিললো। আজ নাসুম বোলিং করেছেন পুরো দশ ওভার। এরমধ্যে ৪৮ টা বল থেকেই কোন রান বের করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা। সাথে উইকেটও পেয়েছেন তিনটি।

ফলে তামিমদের সামনে থাকে ১০৯ রানের ছোট টার্গেট। আজ অবশ্য তামিম ইকবালের সাথে ওপেন করতে নেমেছিলেন  নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুর সময়টা সামলালেও ইনিংস বড় করতে পারেননি শান্ত। পরে তামিম ও লিটন মিলে সহজেই বাংলাদেশের সিরিজ জয় নিশ্চিত করে। ফলে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ৯ উইকেটের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ।

ওদিকে এই  নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা দশ জয় নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে বাংলাদেশ সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচ হেরেছিল ২০১৮ সালে। এরপর আর ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশকে হারাতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। এছাড়া ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টানা চতুর্থ ওয়ানডে সিরিজও জিতলো বাংলাদেশ দল।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link