প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত এক জয়ের পর ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনশেষে ব্যাকফুটেই আছে বাংলাদেশ। টম ল্যাথামের দেড়শো আর ডেভন কনওয়ের নাইন্টিসে প্রথম দিনশেষে ১ উইকেটে ৩৪৯ রানের বিশাল সংগ্রহ দাড় করিয়েছে নিউজিল্যান্ড। হ্যাগলি ওভালের সবুজ পিচেও অসহায় হয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশের পেসাররা।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করে ব্ল্যাকক্যাপসরা। ১৬ বছর পর প্রথমবার তথকথিত পঞ্চপান্ডব ছাড়াই খেলতে নামে বাংলাদেশ। অভিষিক্ত হন মোহাম্মদ নাইম শেখ। এছাড়া মুশফিকের ইনজুরিতে সুযোগ পান নুরুল হাসান সোহান। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে রাচিন রবীন্দ্রর বদলি সুযোগ পান ড্যারেল মিশেল।
ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে অধিনায়ক টম ল্যাথাম ও উইল ইয়ঙ মিলে গড়েন ১৪৮ রানের জুটি! এবাদতের বলে দু’বার লেগ বিফোর হলেও রিভিউর কল্যানে বেঁচে যান ল্যাথাম। এবাদত, তাসকিন, শরিফুলরা নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং জুটি ভাঙতেই হিমসিম খেয়েছেন।
লাঞ্চ বিরতিতে বিনা উইকেটে ৯২ রান তুলে স্বাগতিকরা। এরপর দ্রুতই ফিফটি তুলে নেন ল্যাথাম। ধীরে ধীরে দু’জনে মিলে গড়েন সেঞ্চুরির জুটি! এরপর একপ্রান্তে ফিফটি তুলে নেন উইল ইয়ঙও। দলীয় ১৪৮ রানে শরিফুলের বলে অভিষিক্ত নাইম শেখকে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৫৪ রানে ফিরেন ইয়ঙ।
এরপর দিনের বাকিটা পথ ডেভন কনওয়েকে নিয়ে সহজেই পাড়ি জমান ল্যাথাম। একপ্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি তুলে নেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক। ১৩৩ বলে সেঞ্চুরির পথে ক্যারিয়ারের দ্রুততম সেঞ্চুরি গড়েন ল্যাথাম।
ল্যাথামকে যোগ্য সমর্থন দিয়ে আরেকপ্রান্তে ফিফটি তুলে নেন কনওয়ে। চা-বিরতি পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের স্কোর ১ উইকেটে ২০২ রান। চা-বিরতির পর ব্যক্তিগত দেড়শো রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন ল্যাথাম। ল্যাথামের দেড়শোতে সেঞ্চুরির জুটি পূর্ণ করেন কনওয়ের সাথে। আরেকপ্রান্তে ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির দিকে অগ্রসর হন কনওয়ে। দলীয় রান ততক্ষণে ৩০০ পার! বাংলাদেশী বোলাররা কাঠখড় পোড়ালেও ভাঙতে পারেননি এই জুটি।
দিনের একদম শেষদিকে দু’জনে মিলে গড়েন ডাবল সেঞ্চুরির জুটি। কাছে গিয়েও প্রথম দিনে সেঞ্চুরি পাননি কনওয়ে। সেঞ্চুরি পেতে কনওয়ের প্রয়োজন মাত্র ১ রান, অপরদিকে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৪ রান দূরে আছেন টম ল্যাথাম। ল্যাথামের অপরাজিত ১৮৬ ও কনওয়ের ৯৯ রানে প্রথম দিনশেষে ১ উইকেটে ৩৪৯ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
টসঃ বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ড (১ম ইনিংস) – ৩৪৯/১ (৯০ ওভার); ল্যাথাম ১৮৬(২৭৮)*, কনওয়ে ৯৯(১৪৮)*, ইয়ঙ ৫৪(১১৪); শরিফুল ১৮-৬-৫০-১, এবাদত ২১-১-১১৪-০।