বাংলাদেশের উল্লাসে বিদ্ধস্ত নেপাল মুখ ঢাকলো জার্সির আড়ালে। শেষ সেকেন্ডের গোলে ভেঙে পড়লো শক্তিশালী নেপালের দম্ভ, বাংলাদেশের মেয়েরা অনেকটা নিশ্চিত করে ফেললো আরেকটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের টাইটেল।
প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে নয় গোলে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়নের রেসে নিজেদের অনেকটা ফেবারিট হিসেবেই ঘোষণা করে বাংলাদেশ। তবে নেপাল পরীক্ষা তখনও বাকি ছিল। প্রথম ম্যাচে ৬-১ ব্যবধানে নেপাল উড়িয়ে দিয়েছিল ভুটানকে। সাফের সমীকরণে তারাও যে কম যায় না। তাই তো একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস ছিল শুরু থেকেই।
বাংলাদেশের মেয়েরা এ দিনও শুরু থেকেই আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে। কাঙ্ক্ষিত গোল আসতেও তাই বেশি সময় লাগেনি। ১৩ মিনিটের মাথায় মুনকি আক্তারের পা থেকে প্রথম গোল পায় বাংলাদেশ।
তবে নেপালও ছেড়ে কথা বলেনি। গোল শোধ দিতে মরিয়া হয়ে উঠে তারাও। একের পর এক আক্রমণে বাংলাদেশি রক্ষণে কাঁপন ধরালেও ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় সুযোগ তৈরি হয়নি।
নেপাল না পারলেও ৩৬ মিনিটের মাথায় সাগরিকা অনেক নাটকীয়তার পরে লিড দ্বিগুণ করেন। আগের ম্যাচেও হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। ২-০ লিড নিয়েই শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধ শেষ করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ শুরুর হাফে যেভাবে ডমিনেট করে খেলেছে, মনেই হচ্ছিল জয়টা সহজই হবে তাদের জন্য। তবে শেষ মুহূর্তে মরণ কামড় দেওয়ার জন্য তৈরি ছিল নেপাল। ৭৮ মিনিটে প্রথম এবং ৮ মিনিটের ব্যবধানে, অর্থাৎ ৮৬ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোল করে স্কোর সমান করে তারা।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয় সাত মিনিটের। শেষ মুহূর্তে রুদ্ধশ্বাস লড়াই চলে দুই দলের মধ্যে, ফলাফলটা ড্র-এর দিকেই যাচ্ছিল। ৭ মিনিট পার হয়ে ঘড়ির কাঁটা তখন ১১ মিনিটের কোটায়, আর ওখানেই শেষ সুযোগ কাজে লাগালো বাংলার মেয়েরা। ৩-২ এর জয় নিয়েই শেষ হাসিটা হাসলো সাগরিকারা।
চার দলের খেলায় বাংলাদেশের সামনে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছিল নেপালই। তাদের হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের সবার উপরে এখন বাংলাদেশ। নিয়ম অনুযায়ী, গ্রুপের শীর্ষ দলই পাবে চ্যাম্পিয়নের খেতাব। এমন পারফরম্যান্সের পর বলা যায়, বাংলাদেশই এখন সবচেয়ে বড় দাবিদার।