দিনের শেষ দিকে এসে চেতেশ্বর পূজারা ও শ্রেয়াস আইয়ারের ১৪৯ রানের বিশাল জুটিটা ভাঙলেন তাইজুল ইসলাম। অথচ এই জুটিটা ভাঙতে পারতো আগের ওভারেই। শ্রেয়াস আইয়ারের উইকেটে আঘাত করল এবাদত হোসেনের বলটা। তবুও আউট হল না।
এবাদতের গুড লেন্থে পড়া বলটায় পুরোপুরি পরাস্ত হয়েছিলেন আইয়ার। বলটা অফ স্ট্যাম্পে আঘাত করলো, একটা নড়েও উঠলো, স্ট্যাম্পের লাইটগুলোও জ্বলে উঠলো, তবে বেলটা নিজের জায়গা থেকে সরে গেলেও মাটিতে পড়ল না। অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন এবাদত। যেন আম্পারকে বোঝাতে চাইছেন বেলটা কেন পড়বেনা। ব্যাটার আইয়ার নিজেও খানিকটা অবাকই হলেন। জীবন পেলেন আরেকবার।
ব্যাটসম্যানকে এভাবে পরাস্ত করার পরেও উইকেট না পাওয়াটা একজন পেসার এর জন্য হতাশারই। এছাড়া দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ওভারেই এবাদত পেতে পারতেন চেতেশ্বর পূজারার উইকেটও। পূজারা আউটসাইড এজ হয়ে পেছনে ক্যাচ দিলেও সহজ সেই ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেননি সোহান। ফলে দিনের সেরা দুই ব্যাটারকে প্রায় আউট করেও করা হলো না এবাদতের। উইকেট শূন্য থেকেই দিন শেষ করতে হয়েছে এই পেসারকে।
এছাড়া পূজারা ও আইয়ারের বিশাল জুটি পুরো বাংলাদেশ দলকেই হতাশ করে তুলেছিল। তবে সেই হতাশা দিনের নায়ক তাইজুল ইসলাম মিটিয়েছেন দ্রুতই। চেতেশ্বর পূজারার স্ট্যাম্প ভাঙার পাশাপাশি ভাঙলেন ১৪৯ রানের জুটিটাও।
তাইজুলের এই উইকেটে ম্যাচে আবার খানিকটা লাগাম ফিরে পেল বাংলাদেশ। ওদিকে সকালে বাংলাদেশ শুরুটা করেছিল দারুণ। প্রথম সেশনেই পড়েছিল ভারতের তিন উইকেট। যার দুটিই নিয়েছিলেন তাইজুল। আরেকটি গিয়েছিল খালেদ আহমেদের পকেটে।
আর লাঞ্চের পরপরই ভয়ংকর হয়ে উঠতে থাকা ঋষাভ পান্তকে ফিরিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১১২ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ তখন কোণঠাসা। আর সেখান থেকেই ভারতকে আবার লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন চেতেশ্বর পূজারা ও শ্রেয়াস আইয়ার।
অবশ্য আরেকবার কপাল পুড়েছিল এবাদতের। মাত্র ১২ রানে ব্যাট করতে থাকা পূজারার ক্যাচ উইকেটের পেছনে ফেলে দিয়েছিলেন নুরুল হাসান সোহান। এছাড়া শ্রেয়াস আইয়ারের দেয়া একটা কঠিন সুযোগও মিস করেছিলেন তিনি। না হলে হয়তো আজ দিনের মধ্যেই অল আউট করে দিতে পারতো বাংলাদেশ।
তবে পূজারা ও আইয়ারের জুটি ভাঙার পর দিনের শেষটুকু রাঙিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দিনের শেষ বলে তুলে নিয়েছেন অক্ষর প্যাটেলের উইকেট। প্রথম দিনের খেলা শেষে ২৭৮ রানে ছয় উইকেট হারালো ভারত। দুইবার জীবন পাওয়া শ্রেয়াস আইয়ার অপরাজিত আছেন ৮২ রানে। দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রামে ভারতের ইনিংস কতটা লম্বা হয় এখন সেটাই দেখার বিষয়!