পেসারদের বর্ণিল শুরুটা শেষবেলায় হয়েছে মলিন

মিশ্র অনুভূতি নিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কা। প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে দুই দলই লড়াই করেছে সমান তালে। কখনো চালকের আসনে বসেছে, আবার কখনো ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখেছে প্রতিপক্ষ। দিনের খেলা শেষে আপাতত ২৪৮ রানে পিছিয়ে আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল, হাতে আছে সাত উইকেট।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টসে জিতে যখন বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেছেন টাইগার পেস ত্রয়ী। নতুন বল আর সবুজ উইকেটের পূর্ণ ফায়দা তুলেছেন তাঁরা। প্রথম সেশনে কেবল দারুণ বোলিং করে থেমে থাকেননি; লঙ্কান ব্যাটিং অর্ডারকে ধ্বসিয়ে দিয়েছেন প্রথম সেশনেই।

শুরুটা করেছিলেন খালেদ আহমেদ, তাঁর প্রথম ওভারেই থার্ড স্লিপে দাঁড়ানো মেহেদি হাসান মিরাজের কাছে ক্যাচ তুলে দেন ওপেনার নিশান মাধুশাঙ্কা। খানিক বিরতি দিয়ে কুশল মেন্ডিসকেও ঝুলিতে পুরেন এই ডানহাতি। একই ওভারে মেন্ডিসকে আউট করার পর দিমুথ করুণারত্মকে সরাসরি বোল্ড করেন তিনি। এই বিপর্যয়ের মাঝেই অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস কাটা পড়েন রান আউটে।

এরপর দিনেশ চান্দিমালকে আউট হলে খাদের কিনারায় পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। ৫৭ রানে পাঁচ উইকেট হারালেও অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ভয়ে ভীত হননি, উল্টো কাউন্টার অ্যাটাক করতে শুরু করেন। কামিন্দু মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে দুর্ভেদ্য এক জুটি গড়েন তিনি। তাঁদের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে সফরকারীরা।

দ্বিতীয় সেশনে কোন সাফল্য পায়নি শরিফুল, মিরাজরা। এসময় দুই লঙ্কান ব্যাটার রান তোলেন ওয়ানডে গতিতে, বড় সংগ্রহের স্বপ্নও উঁকি দিতে শুরু করে। টি ব্রেকের পর পালাক্রমে সেঞ্চুরি তুলে নেন কামিন্দু ও ডি সিলভা।

তবে অভিষিক্ত নাহিদ রানা তাঁদের আর এগুতে দেননি; তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করার পরই প্যাভিলিয়নের পথ দেখান তিনি। আউট হওয়ার আগে দু’জনেই করেন ১০২ রান। প্রবাথ জয়াসুরিয়াও টিকতে পারেননি এই তরুণের দুর্ধর্ষ গতির বিরুদ্ধে। অর্থাৎ টানা তিন ওভারে তিন উইকেট তুলে শেষ বিকেলে দলকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন এই তরুণ। এরপর অবশ্য বেশিক্ণ স্থায়ী হয়নি শ্রীলঙ্কার ইনিংস, ২৮০ রানেই গুটিয়ে গিয়েছে দলটি।

যদিও ব্যাট হাতে হতাশ করেছে টাইগার টপ অর্ডার। জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক তিনজনই আউট হয়েছেন এক অঙ্কের ঘরে। ফলে দিনের শেষটা ভাল হয়নি স্বাগতিকদের। অন্তত বাকি ব্যাটারদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল পারফরম্যান্স এখন বড্ড প্রয়োজন টিম টাইগার্সের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link