বিশ্বকাপের আগে নিজেদের শেষ সময়ে যাচাই করে নিতে প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের উড়িয়ে দিয়ে প্রস্ততি ভাল ভাবেই সেরেছে টাইগাররা – আট ওভার এবং সাত উইকেট হাতে রেখেই এদিন দাসুন শানাকাদের হারিয়েছে টিম টাইগার্স।
টসে জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা শ্রীলঙ্কা অবশ্য শুরুটা করেছিল দারুণভাবে। দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা এবং দুই কুশলের সাবলীল ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে কোন উইকেট না হারিয়েই ৬৯ রান তোলেন। মূলত কুশল পেরেরার চোটের কারণে উইকেট না পড়লেও মাঠে নামতে হয়েছিল মেন্ডিসকে।
পনেরোতম ওভারে দলীয় শতরান পার করা শ্রীলঙ্কা নাসুমের ওভারে প্রথম উইকেট হারায়। এরপরই ধীরে ধীরে ধীর হয়ে যায় দলটির স্কোরবোর্ড। নিয়মিত বিরতিতে ব্যাটারদের সাজঘরে পাঠিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দেন শেখ মেহেদী। তিনি একাই তিম উইকেট নিয়ে লঙ্কান লাইনআপকে গর্তের কিনারায় ঠেলে দেন।
বাকি বোলাররাও আর সেখান থেকে ফিরতে দেয়নি তাঁদের। শেষ পর্যন্ত ৪৯.১ ওভারে ২৬৩ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ করেন নিশাঙ্কা, এছাড়া হাফসেঞ্চুরি করেছেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে লিটন দাস এবং তানজিদ তামিম বাংলাদেশকে এনে দেন উড়ন্ত সূচনা। দুজনের ভয়ডর হীন ব্যাটিংয়ে মাত্র ১৪ ওভারের তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ততক্ষণে অর্ধশতকের দেখা পেয়েছিলেন লিটন; ক্ষনিক পরে জুনিয়র তামিমও পেয়ে যান ফিফটির স্বাদ।
শেষমেশ লিটনকে আউট করে টাইগারদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গতে পেরেছিল শ্রীলঙ্কা। ব্যক্তিগত ৬১ রানের মাথায় ড্রেসিংরুমে ফিরে যান এই ডানহাতি; এরপর মিরাজ তিন নম্বরে নেমে প্রথম থেকেই ইতিবাচক ব্যাটিং শুরু করেন।
তামিমের সঙ্গে তাঁর পঞ্চাশোর্ধ পার্টনারশিপে জয়ের দিকে অনেকটা এগিয়ে যায় টিম টাইগার্স। যদিও সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও হতাশ হতে হয়েছিল তরুণ ওপেনারকে। তাওহীদ হৃদয়ও ফিরেছেন গোল্ডেন ডাকে; তবে বিপদ বাড়তে দেননি মুশফিকুর রহিম, মিরাজকে সাথে নিয়ে সাবধানে পাড়ি দেন বাকি পথ। দলকে জয় এনে দেয়ার পাশাপাশি নিজের ফিফটিও পূর্ণ করেছিলেন এই অলরাউন্ডার।
এমন বিশাল জয় নিশ্চিতভাবেই বিশ্বকাপে আত্মবিশ্বাস জোগাবে বাংলাদেশকে; সেই সাথে সুযোগ দিবে ভুলত্রুটি শুধরে আরো শক্তিশালী হতে। তবে তার আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি গা গরমের ম্যাচ অপেক্ষা করছে শান্ত, লিটনদের জন্য।