আফতাব ঝড়ের পরও শূন্যতা

আফতাব আহমেদকে দেখে আফসোসটা বাড়লো কেবল। খামখেয়ালিতে না হারালে হয়তো এখনও জাতীয় দলে এই ঝড়টা তুলতে পারতেন। রোড সেফটিতে অবশ্য আফতাবের ঝড় বাংলাদেশ লিজেন্ডসের ভাগ্য বদলাতে পারল না।

ভারত লিজেন্ডসের সাথে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে রোড সেফটি ওয়াল্ড সিরিজে যাত্রা শুরু করেছিলো বাংলাদেশ লিজেন্ডস। আর শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা লিজেন্ডসের কাছে একই ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে বাংলাদেশের কিংবদন্তিরা।

আর মাঝের তিন ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ লিজেন্ডসের সাথে একটু লড়াই করতে পারলেও বাকি দুই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা লিজেন্ডস ও ইংল্যান্ড লিজেন্ডসের কাছে অসহায় আত্নসমর্পণ করেছেন রফিক-সুজনরা। যার ফলে জয়হীন থেকেই টুর্নামেন্ট শেষ করতে হলো বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটারদের।

গত ম্যাচের মতো আজও স্কোর বোর্ডে ম্যাচ জেতার মতো রান তুলেছিলো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু বোলারদের ব্যর্থতায় সহজেই হারতে হয় বাংলাদেশ লিজেন্ডসকে। ১৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে কোন সুযোগই দেননি দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার পুটিক ও ভ্যান উইক।

উদ্বোধনী জুটিতে প্রয়োজনীয় ১৬১ রান তুলে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা লিজেন্ডস। পাটিক ৮২ ও ভ্যান উইক ৬৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। এই জয়ের ফলে তৃতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা লিজেন্ডস। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কা লিজেন্ডসের মুখোমুখি হবে প্রোটিয়া কিংবদন্তীরা।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ লিজেন্ডস। ৯ রান করে নাজিমউদ্দিনের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের ফাঁদে পড়েন মেহরাব হোসেন অপি। অপি ফিরে যাওয়ার পর উইকেটে এসে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন আফতাব আহমেদ।

আফতাব আহমেদ আক্রমণাত্মক খেললেও অপর প্রান্তে ৩৩ বলে ৩২ রানের ধীরগিতর ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান নাজিমউদ্দিন। নাজিমউদ্দিন ফিরে যাওয়ার পর উইকেটে আসেন হান্নান সরকার; জুটি বাঁধেন আফতাবের সাথে। তৃতীয় উইকেটে আফতাব-হান্নানের ৬১ রানের জুটিতেই বড় রানের ভিত্তি পায় বাংলাদেশ লিজেন্ডস।

কিন্তু, ২৪ বলে ৩৯ রান করে আফতাব আহমেদ ও ৩১ বলে ৩৬ রান করে হান্নান সরকার ফিরে যাওয়ার পরই পথ হারায় বাংলাদেশের ইনিংস।   এই দুজন ফিরে যাওয়ার পর ৯ বলে ১৯ রান করে ঝড়ো ইনিংসের ইঙ্গিত দিলেও রান আউটের ফাঁদে পড়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি খালেদ মাসুদ পাইলট।

পাইলট ফিরে যাওয়ার পর সময়ের দাবি মেটাতে পারেননি আর কোন ব্যাটসম্যানই। শেষ ১৪ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২ রান সংগ্রহ করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশের কিংবদন্তীরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ লিজেন্ডস: ১৬০/৯ (ওভার:২০; মেহরাব- ৯, নাজিমউদ্দিন- ৩২, আফতাব- ৩৯, হান্নান- ৩৬, মাসুদ- ১৯, রফিক- ৭, রাজ্জাক- ০, মুশফিকুর- ২, রাজিন- ৬, সুজন- ১, কবির- ২) (এনটিনি- ৩-০-২৬-২, তাসাবালালা- ৪-০-৩৩-২,ক্রুগার- ৪-০-২৭-১)

দক্ষিণ আফ্রিকা লিজেন্ডস: ১৬১/০ (ওভার:১৯.২; পুটিক- ৮৪*, ভ্যান উইক- ৬৯*)

ফলাফল: দক্ষিণ আফ্রিকা লিজেন্ডস ১০ উইকেটে জয়ী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link