সিরিজ জয়ের এক তীব্র সম্ভাবনা। তাও আবার হোম অব ক্রিকেটে। মিরপুরে আরও একবার নিউজিল্যান্ডকে ধরাশায়ী করতেই যেন নামবে বাংলাদেশ দল। যেই দলটার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম চার টেস্টই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে, সেই দলের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের হাতছানি।
সিলেটের স্পোর্টিং উইকেটে দূর্দান্ত খেলেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। তাইতো একাদশে খুব বেশি পরিবর্তন না আনার কথাই জানিয়েছেন প্রধান কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব খুব বেশি পরিবর্তন না করতে।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটের কেন্দ্রে অবস্থান শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এখানে প্রতিনিয়তই নানা পর্যায়ের ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজিত হয়। ব্যতিব্যস্ত মিরপুরের উইকেটে তাই পরিচর্যা করবার সময় পাওয়া যায় ভীষণ অল্প। তাছাড়া উইকেটও শ্বাস নেওয়ার সময় পায় খুব কমই।
তাইতো এখানে স্পিনারদের আধিপত্য দেখা যায় সবচেয়ে বেশি। সেদিক থেকে স্বাভবিকভাবেই স্পিনারদের আধিক্য দেখা যাবে বাংলাদেশের একাদশে। পরিবর্তন যা হবে তা হয়ত বাধ্য হয়েই করতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে। বিশেষ করে একটা পরিবর্তন যেন অবধারিত।
ডানহাতি স্পিনার নাঈম হাসানকে ছাড়াই মিরপুর টেস্টে খেলতে নামবে বাংলাদেশ দল। ম্যাচের ঠিক আগের দিন হওয়া অনুশীলনে হাতে চোট পেয়েছেন নাঈম। তাও আবার ডানহাতের তর্জনীতে। সুতরাং তার খেলার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। সেদিক থেকে একাদশে দেখা যেতে পারে হাসান মুরাদকে।
এছাড়া সিলেট টেস্টের একাদশ থেকে খুব একটা কাটছাঁট করতে নিশ্চিতরুপেই চাইবে না বাংলাদেশ। তবে প্রশ্ন জাগতেই পারে কয়জন পেসার নিয়ে খেলবে বাংলাদেশ? হেড কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহের কথা অবশ্য প্রমাণিত হয় যে স্পিনারদের আধিক্যই থাকবে বেশি।
তিনি উদাহরণ টেনেছেন এই বছর মিরপুরে খেলা দুই টেস্টের। সেখানে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের পেসারদের পকেটে গিয়েছিল ১৪ খানা উইকেট। চান্দিকা মনে করেন সেই টেস্টের আগে যথেষ্ট সময় পাওয়া গিয়েছিল, তাতে করে উইকেট তৈরি করা গেছে প্রয়োজন মোতাবেক।
তিনি বলেন, ‘শেষ ম্যাচটা আমরা এখানে খেলেছি আফগানিস্তানের বিপক্ষে, সেটা ভিন্ন পিচ ছিল, তখন এখানে অনেকদিন ক্রিকেট হয়নি, পিচটা তৈরি করার সুযোগ ছিল। তো তখন আমরা ৩ ফাস্ট বোলার নিয়ে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা।’
আবার আয়ারল্যান্ডের ক্ষেত্রে ঘটেছিল ঠিক ভিন্ন ঘটনা। সেই টেস্টে ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন স্পিনাররা। এবারের পরিস্থিতি স্পিনারদের পক্ষেই। মেয়েদের সিরিজ হয়েছে মিরপুরে গেল নভেম্বরেই। ঘরোয়া ক্রিকেটের বেশ কিছু ম্যাচও আয়োজিত হয়েছে হোম অব ক্রিকেট। তাছাড়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচও গড়িয়েছিল শেরে বাংলায়।
তাইতো পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়নি উইকেট নতুনভাবে প্রস্তুত করবার। ঠিক সে কারণেই একাদশে একজন পেসারকেই দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাতে করে শরিফুল ইসলামই এগিয়ে থাকছেন বৈচিত্র্য বিচারে। তবে ম্যাচের দিনের সকাল বেলা উইকেট দেখে ভিন্ন সিদ্ধান্তও নিতে পারে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।
- মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুমিনুল হক সৌরভ, মুশফিকুর রহিম, শাহাদাত হোসেন দিপু, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, হাসান মুরাদ, শরিফুল ইসলাম।