শাহীন শাহ আফ্রিদি আর হারিস রউফের করা আট ওভার বাংলাদেশের আকাশে ঝড় হয়ে এলো। দুজনের পেস তাণ্ডবে স্রেফ গুড়িয়ে গেল ব্যাটিং অর্ডার। দুজনের আগুনে জুটি আবারও প্রমাণ করলো একবার জ্বলে উঠলে প্রতিপক্ষ ধুলিসাৎ হয়ে যায় এক নিমিষে।
বাংলাদেশের সামনে ১৩৬ রানের সহজ লক্ষ্যমাত্রা। দুবাইয়ের এই উইকেটে একটু দেখেশুনে খেললেই এই রানের গন্ডি পার করা যায় অনায়াসে। তবে এই রানকে দুই বোলার যেন বানিয়ে ফেললেন হিমালয় সমান, যা ডিঙিয়ে যাওয়া দুসাধ্য।
নিজের করা প্রথম ওভারে আঘাত আনলেন শাহীন, ফেরালেন পারভেজ হোসেন ইমনকে। আর এপরই চিরচেনা উদযাপনে মেতে উঠলেন, বুঝিয়ে দিলেন এখনও ফুরিয়ে যায়নি সিংহের তেজ। প্রথম দুই ওভারে রান দিলেন মাত্র পাঁচ। পাওয়ারপ্লেতেই আবারও এলেন তৃতীয় ওভারে, আর এসেই ফেরালেন তাওহীদ হৃদয়কে।

একপ্রান্তে যখন শাহীনের সামনে দিশেহারা ব্যাটাররা, তখনই মোক্ষম চাল দিলেন হারিস রউফ। ফর্মে থাকা সাইফ হাসানকে কাবু করলেন পেসে। গতি বুঝতে না পেরে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন সাইফ। আর বাংলাদেশের আশার প্রদীপ নিভতে বসল ওখানেই।
তবে থামলেন না রউফ-শাহীন। শামীম পাটোয়ারি যখন বাংলাদেশের শেষ আশার পেছনে ছুটছেন, পাকিস্তানের কপালে তখনও দুশ্চিন্তার ভাজ। ১৭তম ওভারে অধিনায়ক বল হাতে ফেরালেন বিশ্বস্ত সৈনিক শাহীনকে। আর তিনিও আস্থার প্রতিদান দিলেন, ৩০ রান করা শামীমকে তুলে নিলেন। ঠিক পরের ওভারে ফিরলেন রউফ, এসেই ফেরালেন তানজিম সাকিব এবং তাসকিন আহমেদকে। আর তাতেই জয়ের তিরে ভেড়ে পাকিস্তানের নৌকা।
দুজন মিলে আট ওভার বল করে শিকার করেছেন ছয় উইকেট। বিনিময়ে রান দিয়েছেন ৫০। যখনই উইকেটের দরকার পড়েছে তখনই বল হাতে যমদূতের বেশে আঘাত এনেছেন। দলকে জিতিয়েছেন ১১ রানে, সেইসাথে গুড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের স্বপ্ন।

পাকিস্তানের পেস আক্রমণ বরাবরই ধংসাত্বক। আজও তাঁর এক ঝলক দেখা গেল। একপ্রান্তে শাহিনের নিয়ন্ত্রিত সুইং, আর অপর পাশে রউফের গতির ঝড়, এই দুইয়ের সামনে দাঁড়ানোর সাধ্য আছে কার!











