বুদিমির-জারাগোজা, বার্সেলোনার প্রথম পরাজয়ের কারিগর

বিরতির আগে দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা, স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তখন তাঁদের হাতে। কিন্তু কাতালান শিবির কি আর এত সহজে রণে ভঙ্গ দেয়? দলটির তরুণ উইঙ্গার পাউ ভিক্টর জালের ঠিকানা খুঁজে পেলে ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনাও জেগে ওঠে।

ছোট দলের বড় তারকা, তাই ব্রায়ান জারাগোজাকে সবাই ঠিকঠাক হয়তো চেনেন না। তবে বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচের পর আর সংশয় থাকার কথা নয় – এক গোল আর এক অ্যাসিস্টে তিনিই বার্সা বধের উৎসবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ভর করেই ৪-২ গোলে জিতেছে ওসাসুনা অন্যদিকে, মৌসুমে নিজেদের প্রথম হারের মুখ দেখেছে বার্সা।

শুরুটা করেছিলেন অ্যাসিস্ট দিয়েই, পিন পয়েন্ট ক্রসে এই স্প্যানিশ খুঁজে নিয়েছিলেন আন্টে বুদিমিরকে। সেখান থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন বুদিমির। মিনিট দশেক পরে তিনি নিজেই নাম লেখান স্কোরবোর্ডে।

মাঝ মাঠে বলের দখল পেয়ে গিয়েছিলেন পাবলো ইবানেজ, ঠান্ডা মাথায় প্রতিপক্ষের রক্ষণ ছিরে তিনি বল পাঠিয়ে দেন জারাগোজার উদ্দেশ্যে। গোলরক্ষকের সঙ্গে ওয়ান ভি ওয়ান পরিস্থিতিতে তিনি যা করলেন সেটা দেখার মতই ছিল, দারুণ দক্ষতায় ইনাকি পেনার পাশ দিয়ে বেরিয়ে যান এবং তারপরই গোল!

বিরতির আগে দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা, স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তখন তাঁদের হাতে। কিন্তু কাতালান শিবির কি আর এত সহজে রণে ভঙ্গ দেয়? দলটির তরুণ উইঙ্গার পাউ ভিক্টর জালের ঠিকানা খুঁজে পেলে ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনাও জেগে ওঠে।

কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি, ৭১ মিনিটের সময় পেনাল্টি আদায় করেন বুদিমির। কোন ভুল না করে স্পট কিক থেকে দলের লিড আবারও বাড়িয়ে নেন তিনি৷ জয়ের আশা কার্যত তখনই শেষ হয়ে যায়, তার উপর প্রায় পঁচিশ গজ দূর থেকে গোল করে বসেন আবেল ব্রেটোনস – লা লিগার টেবিল টপাররা তখন বিধ্বস্ত।

ম্যাচ জিততে না পারলেও লামিন ইয়ামালের গোলটা অবশ্য ক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত করবে সমর্থকদের। ডি বক্সের একটু বাইরে থেকে বাঁকানো শটে প্রতিপক্ষের দুর্ভেদ্য রক্ষণ ভেদ করেছিলেন তিনি। শেষমেশ ৪-২ গোলে হেরে যায় তাঁরা, ফলে শীর্ষে টিকে থাকলেও পায়ের নিচের মাটি অনেকটাই নড়বড়ে হয়ে গেল।

Share via
Copy link