মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগান চাইলে বলটা ডানে বা বামে খেলতে পারতেন কিন্তু কি মনে করে তিনি টাইট মার্কিংয়ে থাকা এরিক গার্সিয়ার দিকেই পাস দিয়ে বসলেন। ফলে যা হওয়ার তাই হলো, বলের দখল হারিয়ে ফেললো বার্সেলোনা, সেটাও আবার ডি বক্সের ঠিক সামনে। বাধ্য হয়ে গার্সিয়া তাই ট্যাকেল করলেন মিনামিনোকে। লাস্ট ম্যান ট্যাকেল বিবেচনায় রেফারিও বাধ্য হন লাল কার্ড দেখাতে।
সেই যাত্রায় গার্সিয়া বার্সেলোনাকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর শূন্যতা ম্যাচের বাকিটা সময় কুরে কুরে খেয়েছে কাতালানদের। দশজনের দলে পরিণত হওয়ার মিনিট পাঁচেক পরেই মাগনেস আকলিচ তাঁর বিদ্যুৎ গতি কাজে লাগিয়ে ঢুকে পড়েন বক্সে, এরপর বাম পায়ের জোরালো শট এবং গোল।
বার্সার ভাগ্য বলতে হবে, তাঁদের একজন লামিন ইয়ামাল ছিলেন। প্রথম সুযোগ পেয়েই মাটি কামড়ানো শটে জালেট ঠিকানা খুঁজে নিয়েছিলেন তিনি, প্রায় বিশ গজ দূর থেকে করা তাঁর এই গোল স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছিল সমর্থকদের।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে সেই স্বপ্ন রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে, একজন ফুটবলার কম নিয়ে মোনাকোর দ্রুত গতির ফরোয়ার্ডদের সাথে পাল্লা দিয়ে উঠতে পারছিলো না স্প্যানিশ জায়ান্টরা। একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়তে শুরু করে গোলমুখে, ৭১ মিনিটের মাথায় ভাঙে সব প্রতিরোধ। অফসাইড ট্র্যাপ ফাঁকি দিয়ে জর্জ ইলেনিখেনা দারুণ দক্ষতায় রিসিভ করেন ভেন্ডারসনের পাস, এরপর কিছুটা সামনে এগিয়ে পরাস্ত করেন স্টেগানকে।
পুরো ম্যাচের পরিসংখ্যানে চোখ বোলালেই স্পষ্ট হয়ে যাবে কতটা একতরফা ম্যাচ হয়েছে এদিন। ৫৬ শতাংশ বল দখল রেখে স্বাগতিকরা ১৮টি য়ট নিয়ে প্রতিপক্ষের জালে, অন্যদিকে, তাঁদের দিকে এসেছে কেবল চারটি শট! সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, তাঁরা দশটি কর্নার পেলেও হজম করেনি একটিও – বার্সেলোনার ফরোয়ার্ডরা যে ছায়া হয়ে ছিলেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
লা লিগায় পাঁচে পাঁচ জয়, ১৭ গোলের বিপরীতে স্রেফ চার গোল হজম – হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে সত্যিই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ব্লাউগানা জার্সিধারীরা। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আসতেই সবকিছু তালগোল পাকিয়ে ফেললো, এখন দেখার বিষয় এর কতটুকু প্রভাব পড়ে দলের ওপর।