দেখতে দেখতে প্যারিস সেইন্ট জার্মেনের (পিএসজি) সাথে চুক্তির শেষ মাসে চলে এসেছেন লিওনেল মেসি। এই মাসের শেষেই পিএসজির সাথে দুই বছরের চুক্তি শেষ হচ্ছে মেসির। এখনো নবায়ন না হওয়া চুক্তির মেয়াদ যে আর বাড়ছে না তাও মোটামুটি নিশ্চিত।
মেসির নতুন গন্তব্যের সম্ভাব্য তালিকায় তাঁর পুরোনো ক্লাব বার্সেলোনা আছে প্রথম থেকেই। তবে আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে এখনো মেসিকে ন্যু ক্যাম্পে ফেরানো কাজে খুব একটা এগোতে পারছে না কাতালানরা।
এ মাসের শেষে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবার পর ফ্রি এজেন্ট পরিণত হবেন মেসি। এরপর কোনো ট্রান্সফার ফি ছাড়াই যেকোনো ক্লাবে যেতে পারবেন মেসি। মেসিকে দলে ফেরানোর জন্য বার্সেলোনাকে তাই ট্রান্সফার ফি বাবদ কোনো টাকা খরচ করতে হচ্ছে না। তবে এখানে মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্ষুদে জাদুকরর বেতন ভাতার ইস্যু।
এছাড়াও লা লিগার আর্থিক নীতিমালার বেড়াজালে আপাতত কোনো নতুন খেলোয়াড় দলে ভেরাতে পারছে না বার্সেলোনা। যদিও এই নীতিমালা শিথিল করার জন্য লা লিগা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে বার্সেলোনা। তাই আপাতত মেসিকে দলে ফেরানোর জন্য লা লিগা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে বার্সেলোনা।
লা লিগা বার্সেলোনার প্রস্তাব মেনে নিলেও সাথে সাথেই মেসিকে দলে ভেরাতে পারবে না বার্সা। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্টস এর মতে, মেসিকে দলে ভেরাতে বার্সেলোনার সামনে তখন একটাই পথ খোলা থাকবে;ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনহাকে বিক্রি করা। ইতোমধ্যেই এই রাইট উইঙ্গারের জন্য ইংলিশ বেশ কয়টি ক্লাবের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছে কাতালানরা।
গত মৌসুমেই রাফিনহাকে দলে ভিরিয়েছে বার্সা। প্রথম মৌসুম হিসেবে খুব একটা খারাপ করেননি রাফিনহা। ধীরে ধীরে বার্সেলোনার সাথে মানিয়ে নিয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। তবে মেসিকে দলের ভেরানোর জন্য এখন সেই রাফিনহাকেই বিক্রি করতে হতে পারে কাতালানদের।
যদিও রাফিনহাকে বিক্রির কোনো ইচ্ছা নেই বার্সেলোনার। ধীরে ধীরে বার্সার গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়ে ওঠা রাফিনহাকে ধরে রাখার চেষ্টাই করবে তারা।
তবে, মেসিক ন্যু ক্যাম্পে আনতে হলে দলের আয়-ব্যায়ে ভারসাম্য আনতে এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে বিক্রি করতে বাধ্যই হতে পারে কাতালানরা। গ্রীষ্মেকালীন দলবদল শুরু হবার আগেই তাই এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে বার্সাকে।