আশাই ছেড়ে দিল ঢাকা ক্যাপিটালস। টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার আক্ষেপেই হয়ত মিরপুরের ব্যাটিং উইকেটে চূড়ান্ত বাজে ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দেখাল। ফলে, তাঁদের ব্যাটিং শেষেই আসলে ম্যাচটা শেষ!
এটা কোনো ক্রিকেট ম্যাচ ছিল না, ছিল ধ্বংসযজ্ঞ! একপক্ষ খেলতে এসেছে শাসন করতে, আরেকপক্ষ নামলো যেন হারার প্রতিজ্ঞা নিয়ে! ফরচুন বরিশাল মাঠে নেমেছিল ধ্বংসের পুঁথি লিখতে, আর ঢাকা ক্যাপিটালস? তারা যেন পরিণতির অপেক্ষায় থাকা এক দল অসহায় সৈনিক!
ফরচুন বরিশাল এর আগে কখনওই এত সহজ লক্ষ্যে সম্ভবত ব্যাট করতে নামেনি। সেই লক্ষ্যে তাঁরা পৌঁছে গেল সহজেই। কাজটা আরও সহজ হয়ে যায় ডেভিড মালানের টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিংয়ে। ১৬ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাস ঝড়ো সূচনার আভাস দেন। কিন্তু, ১০ রানে আউট হতেই সব শেষ। তাসের কেল্লার মত ধসে পড়ে ঢাকার দূর্গ। তানভির ইসলাম ও মোহাম্মদ নবীর ঘূর্ণীর সামনে মুখ রক্ষারও সুযোগ হয়নি দলটির।
থিসারা পেরেরা ১১ বলে ১৫ রান না করলে হয়তো ইনিংসটা ৫০ রানেই শেষ হয়ে যেত। শেষ অবধি ৭৩ রানে অল আউট হয় ঢাকা। নবী, তানভির ও ফাহিম আশরাফ তিনটি করে উইকেট নেন। রান কম করলেও ঢাকা খেলে ১৬ ওভারের মাঝামাঝি পর্যন্ত। খেলার বিন্দু মাত্র যেন ইচ্ছাশক্তি নেই, একটু সন্দেহও উঠেছিল তাঁদের অ্যাপ্রোচে। এমনকি বোলিংয়েও কোনো রকম বাড়তি কিছু করার চেষ্টা করেনি দলটি।
টি-টোয়েন্টির যুগে এত ঢিলেঢালা ম্যাচ আজকাল আর হয়ই না। জবাবে ফরচুন বরিশাল ছিল তুখোড় ফর্মে। মাত্র ছয় ওভার তিন বলেই জয় নিশ্চিত করে তাঁরা। পয়েন্ট তালিকায় সবার ওপরে এখন ঢাকা। আরও একটা ম্যাচ বাকি আছে তাঁদের। সেটা হারলেও প্রথম কোয়ালিফায়ারের টিকেট নিশ্চিত হয়ে গেল বিপিএলের অন্যতম সফল এই দলটির।
এই বরিশাল কে আটকাবে? নাকি আরও কোনো বিস্ময় অপেক্ষা করছে? অন্যদিকে শাকিব খানের মাথায় হাত, কিসের মধ্যে এসে ফেঁসে গেলেন তিনি।