চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে ইতি ঘটেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে ফিল সিমন্স অধ্যায়, তিনি ফিরে গিয়েছেন নিজের দেশে। চান্দিকা হাতুরুসিংহের বিদায়ের পর ছয় মাসের সংক্ষিপ্ত মেয়াদে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি, দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হয়েছে হতাশা দিয়েই। তবে তাঁকে কোচ হিসেবে শুধু ভাল, বা শুধু খারাপ বলে বিশ্লেষণ করা যায় না, তিনি আসলে ভাল এবং খারাপের মাঝামাঝি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিকল্পনা ছিল ছয় মাসের ‘ট্রায়াল পিরিয়ডে’ মূল্যায়ন করা হবে তাঁকে, আর এই পরীক্ষায় সন্তোষজনক নম্বর পেয়েই পাশ করেছেন তিনি। একদিকে যেমন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভরাডুবির গল্প রয়েছে, অন্যদিকে আছে টি-টোয়েন্টিতে তারুণ্য নির্ভর দল গড়ার সাফল্য। তাই হয়তো আরো একবার দায়িত্ব যেতে পারে তাঁর কাছে।
এই ক্যারিবীয় কোচকে পছন্দ করার মূল কারণ তাঁর কোমলতা। ড্রেসিংরুমের সবাইকে স্বাধীনতা দিয়ে থাকেন তিনি, তাই খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সহকারী কোচ প্রত্যেকেই তাঁর অধীনে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। তিনি আসলে নিজেদের মত করে সেরাটা বের করে আনতে উৎসাাহিত করেন।
ফারুক আহমেদের বোর্ড ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিকট ভবিষ্যতে কোচিং প্যানেলে দেশীয় কোচদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। অর্থাৎ একজন বিদেশী হেডকোচের সঙ্গে কাজ করবেন দেশীয়রা। সেজন্যই ফিল সিমন্সকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। কেননা গত মেয়াদে স্থানীয় কোচদের পাশে রেখে শেখানোর মানসিকতা দেখা গিয়েছিল তাঁর মধ্যে।
যদিও তাঁকে নিয়ে দ্রুত কোন সিদ্ধান্ত নাও নিতে পারে বিসিবি, অন্তত আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে বিদেশি কোচ আনার তেমন তাড়া নেই। জাতীয় দলের সহকারী কোচের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন থাকবেন প্রধান কোচের আসনে।
অবশ্য যে কোমলতা সিমন্সকে প্রিয় করে তুলেছে সেই একই কারণে চাকরি খোয়াতে হয়েছে স্টিভ রোডস এবং রাসেল ডোমিঙ্গোকে। তাঁদের পরিবর্তে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল কড়া হাতুরুসিংহেকে। কিন্তু তিনিও টিকতে পারেননি, তাহলে ক্রিকেটাররা আসলে চান কি? কিংবা ভাল কোচ নির্ধারণের মানদন্ড কি তাহলে কোমলতা বা কঠোরতা – উত্তরটা বোধহয় কেবল ক্রিকেটাররাই দিতে পারবেন।