করোনা বিপর্যয়ে গত বছরের মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে রয়েছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সাথে স্থগিত হয়ে যায় ঘরোয়া লিগগুলোও। করোনা প্রকোপের ভিতরই প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট মাঠে ফেরায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। টুর্নামেন্ট দুটি শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে টাইগাররা।
প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরালেও এখনো ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরাতে পারেনি বিসিবি। যার কারণে দেশের ক্রিকেটারদের বড় একটা অংশের মাঠে ফেরা হয়নি এখনো। তবে এই অপেক্ষার প্রহরও প্রায় শেষের দিকে। ক্রিকেটারদের জন্য করোনার ভ্যাকসিন কেনার পরই ফেব্রুয়ারিতে ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানোর ব্যপারে আশাবাদী বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
গত বছরের ১৫ মার্চ শুরু হয়েছিলো বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। তবে করোনার কারণে এক রাউন্ড পরই ডিপিএল স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছিলো বিসিবি। এরপর আর মাঠে গড়ায়নি ঢাকা লিগের বাকি অংশ। ডিপিএলের বাকি অংশের সাথে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ও জাতীয় লিগও মাঠে ফেরাতে চায় বিসিবি।
এ প্রসঙ্গে জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমাদের ঘরোয়া খেলা যেগুলো বাকি আছে প্রিমিয়ার লিগসহ একটা ম্যাচ হওয়ার পরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল করোনা কারণে। এটা আমাদের শুরু করার চিন্তাভাবনা আছে। তারপরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, জাতীয় লিগ অনেক খেলা বাকি আছে ঘরোয়ার।’
তবে সব কিছু নির্ভর করছে বিসিবির করোনার ভ্যাকসিন কেনার উপরে। ক্রিকেটার ও ক্রিকেট খেলাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য নিজেরাই টিকা কেনার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে দেশে টিকা আনবে বেক্সিমকো ফার্মা। আর বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বিসিবিরও সভাপতি। বেক্সিমকো থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরাসরি টিকা কেনার সুযোগটা তাই নিতে চায় বিসিবি।
জালাল ইউনুস বলেন, ‘ওইগুলো আসলে আমরা চেষ্টা করব যদি আমরা ফেব্রুয়ারি মাসের পরে যেটা আমাদের মাননীয় সভাপতি বলেছেন যে উনি প্রায়োরিটি দিলে, খেলোয়াড়দের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করবেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করবেন, আমরা যদি ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে অবশ্যই খেলোয়াড়দেরকে আমরা ভ্যাকসিনেশনের আওতা এনে আমরা ঘরোয়া খেলাগুলো শুরু করে দেবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের প্রায়োরিটি মতো খেলোয়াড়েরাও আছে। কখন পাব এটা এখনও কনফার্ম হইনি কিন্তু আমরাও জোর চেষ্টা চালাব যাতে আমাদের যারা জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা আছে, সামনে আমাদের সিরিজ আছে ওইগুলো তার আগে যদি আমরা দিতে পারি এটা আমরা আবেদন করব তার কাছে। আমাদের বোর্ড সভাপতি ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করছেন ভ্যাকিসিনের জন্য।’