টেস্ট দল থেকে বাদ পড়া ঈশান কিষাণ এবং শ্রেয়াস আইয়ারকে রঞ্জি ট্রফিতে খেলার নির্দেশনা দিয়েছিল বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। কিন্তু আইপিএলের প্রস্তুতি নিতে রঞ্জি ট্রফি থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখছেন দু’জনেই। এজন্য টেস্টের পরিকল্পনা তাঁদের একরকম সরিয়ে রাখার চিন্তা ভাবনা চলছে।
তবে এই দু’জনের কর্মকান্ডের কারণে টেস্ট দলের অন্য সদস্যরা লাভবান হতে যাচ্ছে। কেননা নিয়মিত টেস্ট খেলবেন এমন ক্রিকেটারদের আর্থিকভাবে সুবিধা দিবে বিসিসিআই।
কিষাণ ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সাথে কোনো যোগাযোগ রাখেননি, তিনি ব্যস্ত আছেন হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে আইপিএল প্রস্তুতিতে। অন্যদিকে আইয়ারকে যখন মুম্বাই স্কোয়াডে যোগ দিতে বলেছিল তখন পিঠের চোটের অজুহাত দিয়েছিলেন তিনি অথচ ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির (এনসিএ) প্রধান নীতিন প্যাটেল জানিয়েছেন তাঁর নতুন কোনো ইনজুরি নেই এবং খেলার জন্য শতভাগ ফিটনেস রয়েছে।
তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি যারা লাল বলের ক্রিকেট নিয়ে থাকতে চান তাঁদেরকে পুরষ্কার দেয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে বিসিসিআই। সেজন্য একটি সংশোধিত বেতন কাঠামো নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বর্তমান বেতন কাঠামোর অধীনে একজন ভারতীয় ক্রিকেটার ম্যাচ ফি হিসেবে টেস্টে ১৫ লাখ রুপি, ওয়ানডেতে ৬ লাখ রুপি এবং টি-টোয়েন্টিতে ৩ লাখ রুপি দেওয়া হয়। কিন্তু যারা নির্দিষ্ট এক পঞ্জিকাবর্ষে সবগুলো টেস্ট ম্যাচ খেলবেন তাঁদের বড় অংকের পারিশ্রমিক দেয়া হবে।
খেলোয়াড়রা যেন আরও বেশি লাল বলের ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন, টেস্টের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি যেন পায় সেটি নিশ্চিত করতেই মূলত এমন অতিরিক্ত সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে।
বর্তমানে তরুণ তারকাদের মাঝে আইপিএলের প্রতি বাড়তি আগ্রহ রয়েছে, এই টুর্নামেন্টে খেলার জন্য তাঁরা লাল বলের ক্রিকেটকে অগ্রাহ্য করে থাকে কখনো কখনো। এমন মনোভাব হ্রাস করতে আরেকটি সিদ্ধান্তও নিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড – আগামী দিনগুলোতে আইপিএল খেলার যোগ্য হতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেটে চার দিনের ম্যাচে অংশ নেয়া বাধ্যতামূলক করা হবে।
এসব সিদ্ধান্ত অনুমোদন হলে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকেই কার্যকর হবে। অধিনায়ক রোহিত শর্মাও চান সবাই যেন সাদা পোশাকের সংস্করণকে গুরুত্ব দেয়। এখন দেখার বিষয়, বোর্ড থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।