বাঘের ডোরাকাটা জার্সি, কিন্তু মাঠে চিরচেনা বিড়াল! পাকিস্তান শাহীন্সের বিপক্ষে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পন। চারশ রানের গল্প শোনানো হয়েছিল আগের প্রস্তুতি ম্যাচে। কিন্তু, এবার মাঠে নেমে মাত্র ২০২ রানেই খেল খতম বাংলাদেশের!
দুবাইয়ের উষ্ণতায় ওয়ার্মআপ ম্যাচে বাংলাদেশ দল গলে গেল বরফের মতো। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে পাকিস্তান শাহীন্সের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিল শান্তর দল। বাঘের গর্জন তো দূরের কথা, গা গরমের ম্যাচেই যেন নিঃশেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস!
টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। শুরুতেই তামিম আর শান্তর বিদায়ে ধাক্কা। সৌম্য সরকার কিছুটা আগ্রাসন দেখালেন, কিন্তু রানআউটের ব্যর্থতা আবারও তার নামের পাশে। মিরাজ ব্যাট হাতে দলকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেন, কিন্তু উসামা মিরের স্পিনে এমনভাবে ধরা দিলেন যেন প্রথমবার ব্যাটিং করতে নেমেছেন!
তারপর? টিপিক্যাল বাংলাদেশ। চোখের পলকে অলআউট! কেবল মেহেদী হাসান মিরাজ ৪০ রানের ইনিংস খেললেন। বাকিটা লবডঙ্কা। ভাল সূচনা করেও রান আউটের খড়গ নেমে আসে সৌম্য সরকারের।
ওয়ার্মআপ ম্যাচের মানে হলো আত্মবিশ্বাস তৈরি করা, প্রতিপক্ষকে হুঁশিয়ারি দেওয়া। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে, প্রতিপক্ষ নয়, নিজেদেরই ভয় পাচ্ছে! যেখানে দলটার ব্যাটিংয়ে আগুন ঝরানোর কথা, সেখানে রয়ে গেছে সেই চিরায়ত ‘খাবি খাওয়া’ ধারা।
এই দলকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ড-ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে হবে! এই ব্যাটিং ইউনিট নিয়ে কীভাবে? কিসের ভরসায়? শুধু বোলারদের উপর ভরসা রেখে ম্যাচ জেতা তো অলীক কল্পনা।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে বারবার একটা কথাই প্রমাণ হয়—আগ্রাসন আর দায়িত্বশীলতার মিশেল করতে জানে না তারা। ভারত পারে, পাকিস্তান পারে, অস্ট্রেলিয়া তো রক্তচক্ষু দেখায়! কিন্তু বাংলাদেশ? ব্যাটিং দেখে মনে হয়, আত্মবিশ্বাসটাই নেই।
চারশ রানের গল্প শুনিয়ে, মাঠে নেমে ২০২ রান—এটাই বাংলাদেশ ক্রিকেটের বাস্তবতা! এমন ব্যাটিং নিয়ে ‘টাইগার’ শব্দটা ব্যবহারেরও অধিকার আছে কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন!