রশিদের ভয়ে থড়থড় করে কাঁপে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার

বাংলাদেশের মিডল অর্ডারের দুর্দশা চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন আফগান অধিনায়ক। ওপেনিং জুটির গড়ে দেওয়া শক্ত ভীতের উপর দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ দল। 

রশিদ খান যেন যমদূত। বাংলাদেশের মিডল অর্ডারকে ধসিয়ে দিলেন তিনি আরও একটিবার। এই লেগ স্পিনারের বিপক্ষে বাংলাদেশের নেই কোন উত্তর। তিনি আসেন ধ্বংসযজ্ঞ চালান। বাংলাদেশের সম্ভাবনার মৃত্যু ঘটান। দ্বিপাক্ষিক সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও ঘটেনি যার ব্যতিক্রম। যদিও এদিন তিনি পুরোপুরি সফল হতে পারেননি।

১০৯ থেকে ১১৭ রান, এই সময়ে পাঁচটি উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ দল। যার মধ্যে চারটি উইকেটই গিয়েছে রশিদ খানের পকেটে। বাংলাদেশের মিডল অর্ডারের দুর্দশা চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন আফগান অধিনায়ক। ওপেনিং জুটির গড়ে দেওয়া শক্ত ভীতের উপর দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ দল।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সেরা পারফরমার সাইফ হাসানকে দিয়ে ধ্বংসলীলার শুরুটা করেন রশিদ খান। নিজের চতুর্থ উইকেট হিসেবে তিনি ফেরান শামীম হোসেন পাটোয়ারিকে। মাঝে ফিফটি হাঁকানো তানজিদ তামিম ও বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জাকের আলী অনিককেও প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছেন রশিদ খান।

নিজের বোলিং স্পেলের শেষ দশ বলের মধ্যে চারটিতেই উইকেট বাগিয়েছেন রশিদ। চার উইকেটের তিনটিই ছিল লেগ বিফোর উইকেট। বাংলাদেশি ব্যাটারদের বাজে ফুটওয়ার্কের পূর্ণ ফায়দা তুলেছেন জাদুকর রশিদ। তার বৈচিত্র্য ঠিকঠাক পড়তেই যেন পারছিলেন না জাকেররা।

তাতে করে মাত্র আট রান তুলতেই বাংলাদেশের স্বীকৃত সব ব্যাটারদের সবাই সাজঘরে ফেরত যান। উইকেটে বাকি ছিলেন স্রেফ নুরুল হাসান সোহান। শুধু যে উইকেট তুলেই বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলেছেন রশিদ তা নয়। রানের নদীও শুকিয়ে গিয়েছিল তার ওভারগুলোতে। চার ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচা।

তবে দুর্ধর্ষ বোলিং করেও রশিদ খান দলকে জেতাতে পারেননি। নুরুল হাসান সোহানের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ শেষ অবধি পেয়েছে জয়ের দেখা। তবে দলের মিডল অর্ডারের এমন ভঙ্গুর দশা বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার কারণ বটে। তাছাড়া রশিদ খান ভীতি বাংলাদেশের যে এখনও কাটেনি সেটাই যেন আরও একটিবার হয়েছে প্রমাণিত।

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link