২০১৬ সালের এশিয়া কাপের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। সেবার সাব্বির রহমানের বিধ্বংসী পারফরমেন্সের কল্যাণে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সেটাই ছিল সর্বোচ্চ সাফল্য। যদিও পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটেও বাংলাদেশ স্রেফ ফাইনাল খেলার গৌরবে ক্ষান্ত।
তবে আবারও যেহেতু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপ আয়োজিত হচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই বিগত দুই আসরে বাংলাদেশের পারফরমেন্স কেমন ছিল সে প্রশ্ন জেগেছে নিশ্চয়ই। ২০১৬ সালে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এশিয়া কাপ আয়োজিত হয়েছিল। সেবার পাঁচ দল নিয়ে আয়োজিত হয়েছিল মূল পর্ব। বাছাই পর্ব থেকে এসেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত।
প্রথম ম্যাচেই ভারতের বিপক্ষে হেরেছিল টাইগাররা। এরপরের পরাজয় ফাইনালের মঞ্চে। প্রতিপক্ষ ছিল সেই ভারত। মাঝে তিনটি ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ ছিল আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। সেবারের টুর্নামেন্টে সাব্বির রহমান হয়েছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়। ১৭৬ রান করেছিলেন তিনি ৪৪ গড়ে। প্রায় ১২৪ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করার পরও বাংলাদেশকে ফাইনালে তুলতে অগ্রণি ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।
বলা বাহুল্য সেবারের টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়েছিল বাংলাদেশের মাটিতে আর ভেন্যু ছিল মিরপুর। সেই উইকেটে দাঁড়িয়ে সাব্বিরের পারফরমেন্স মোটেও খাটো করার মত নয়। এছাড়াও পেসার আল-আমিন হোসেন ছিলেন বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ১১ খানা উইকেট বাগিয়েছিলেন ডানহাতি এই পেসার।
তবে ফাইনালে ভারতের দাপটের সামনে ফিকে হয়েছে সবকিছু। শিরোপার কাছে থেকে আরও একবার ফিরতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। এরপর ২০২২ সালে আবারও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আয়োজিত হয়েছিল এশিয়া কাপ। সেবার প্রথম রাউন্ডের বাঁধাই টপকাতে পারেনি বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের সাথে গ্রুপ পর্বে তলানিতে ছিল বাংলাদেশ, জিততে পারেনি একটি ম্যাচও।
হতাশার নোনা জলে ডুব সাঁতার দিয়ে বাড়ি ফিরেছিল বাংলাদেশ। বছর তিনেক পর আবারও সেই আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপ। বাংলাদেশকে নিয়ে বড় স্বপ্ন হয়ত খুব কম মানুষই দেখছে। অবশ্য সাম্প্রতিক পারফরমেন্সে একটু হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে। যদিও সেই আলোর প্রখরতা খুব একটা বেশি নয়।