ধারাবাহিকতার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

অবশ্য যুব পর্যায়ে বাংলাদেশের সফলতা সাম্প্রতিক সময়ে এক নিয়মিত চিত্রে পরিণত হয়েছে। একটা সময়ে যেখানে অংশগ্রহণই ছিল প্রধান আনন্দের বিষয়, সে জায়াগায় এখন বাংলাদেশ প্রতিটা টুর্নামেন্টেই শিরোপার জন্যে লড়াই করে।

টানা দ্বিতীয়বার এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। এশিয়া মহাদেশে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করছে যেন যুব টাইগাররা। টানা দ্বিতীয় দফা শিরোপা নিজেদের করে নেওয়া তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। তাও আবার ভারতের মত সুসংগঠিত কাঠামোর একটা দলকে হারিয়ে।

অবশ্য যুব পর্যায়ে বাংলাদেশের সফলতা সাম্প্রতিক সময়ে এক নিয়মিত চিত্রে পরিণত হয়েছে। একটা সময়ে যেখানে অংশগ্রহণই ছিল প্রধান আনন্দের বিষয়, সে জায়াগায় এখন বাংলাদেশ প্রতিটা টুর্নামেন্টেই শিরোপার জন্যে লড়াই করে। প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন, চোখে চোখ রেখে দাবি জানায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের।

এশিয়া কাপের উদাহরণই দেখা যাক। গেল চার আসরের তিনটিতে ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ২০১৯ সালে এশিয়া কাপের শিরোপা হয়েছিল হাতছাড়া। এই ভারতের বিপক্ষেই হেরেছিল যুবারা। কিন্তু ঠিক তার পরের বছর, সেই দলটা গড়েছিল ইতিহাস। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপটা এসেছিল তাদেরই হাত ধরে। ২০২০ সালে প্রথমবারের মত যুব বিশ্বকাপ জিতেছিল বাংলাদেশ।

মাঝে যে বছর ফাইনাল খেলা হয়নি বাংলাদেশের, সেবারওই এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল অনূর্ধ্ব-১৯ দল। শেষ পাঁচ বছরে যুব পর্যায়ে তৃতীয় শিরোপা অর্জিত হয়েছে। এই সাফল্য নিশ্চয়ই প্রশংসার দাবি রাখে। টিম ম্যানেজমেন্ট হয়ত প্রশংসার দাবি জানাতে পারে। তবে সিংহভাগ গুণকীর্তন হওয়া উচিত খেলোয়াড়দের।

খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত নৈপুন্যেই অধিকাংশ ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছে যুব দল। টিম ম্যানেজমেন্টও বিশাল ভূমিকা রেখেছে। তাদেরকে একেবারেই অগ্রাহ্য করবার উপায় নেই। থাকা উচিতও নয়। গোটা দল মিলেই তো জেতে শিরোপা।

কিন্তু অবকাঠামোগত দূর্বলতার কারণে এখনও বাংলাদেশের জাতীয় দল ধুকছে। আন্তর্জাতিক সার্কিটে টাইগারদের বলবার মত নেই তেমন কোন অর্জন। বড় কোন শিরোপাও জেতা হয়ে উঠছে না। এই দুর্দিনের শেষ হবে কি কোন একদিন?

Share via
Copy link