ভুটানকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে সাবিনারা

২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির সেই বিধ্বংসী রূপ ফিরিয়ে আনল বাংলাদেশের মেয়েরা। সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উড়িয়ে দিয়েছে তারা ভুটানকে।

৭-১, ঐতিহাসিক এক স্কোরলাইন। ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির সেই বিধ্বংসী রূপ ফিরিয়ে আনল বাংলাদেশের মেয়েরা। সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উড়িয়ে দিয়েছে তারা ভুটানকে। একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে ফাইনালের টিকিট কেটেছে তহুরা খাতুনরা।

নেপালের দশারথ স্টেডিয়ামে গোল উৎসব করেছে সাবিনা খাতুনের দল। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে কোণঠাসা করে রেখেছিল ভুটান নারী ফুটবল দলকে। ভারত, পাকিস্তানের মত প্রতিপক্ষদের পেছনে ফেলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। যদিও সেসব ম্যাচে দাপট দেখাতে ব্যর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।

নারী দল মাঠে নামে বড় জয়ের লক্ষ্যে। সেই জয় এবারের সাফে অনুপস্থিত ছিল। ভুটানকে পেয়ে তাই সেই অপূর্ণতা আর রাখতে চাইল না পিটার জেমস বাটলারের শিষ্যরা। ম্যাচের সাত মিনিটের মাথায় গোলদ্বার উন্মুক্ত করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। বাঁ-পায়ের জোরালো শটে বল জালে জড়ান তিনি।

এরপর থেকেই আক্রমণের ধার বাড়তে থাকে বাংলাদেশের। ঋতুকে বল বানিয়ে দেওয়ার ঠিক আট মিনিট পর নিজে গোল করেন তহুরা খাতুন। সে গোলেই শান্ত থাকেননি তহুরা। তুলে নেন হ্যাট্রিক। ভুটানের রক্ষণের দূর্বলতার পূর্ণ ফায়দা নিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।

৩৭ মিনিটের মধ্যে ৫-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এই সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় দফা স্কোরশিটে নাম তোলেন তহুরা ও সাবিনা। পঞ্চম গোলটি আসে অধিনায়ক সাবিনার পা থেকে। মধ্য বিরতির আগে এক গোল দিয়ে ব্যবধান কমায় ভুটান। কিন্তু তাদের ম্যাচের ভাগ্য বদলায়নি শেষ অবধি।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। তবে নিজেদের ভুল শুধরে নিয়ে ভুটান রক্ষণে মনোযোগ দেয়। গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে নিজদের। কিন্তু তাতে একেবারেই নিষ্ক্রিয় করা যায়নি বাংলাদেশকে। তহুরা তুলে নেন ব্যক্তিগত হ্যাট্রিক। এরপর ডিফেন্ডার মাসুরা পারভিন হেড থেকে গোল আদায় করে নেন।

সেটাই ছিল ভুটানের কফিনে ঠোকা বাংলাদেশের শেষ পেরেক। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা চলে যায় ফাইনালে। নিজেদের স্বভাবচারিত খেলা ধরে রেখে, আরও একবার শিরোপার দিকেই নজর থাকছে তহুরাদের। নেপাল ও ভারতের মধ্য থেকে যেই হোক প্রতিপক্ষ, বাংলাদেশ দাপটটাই রাখতে চাইবে অব্যাহত।

Share via
Copy link