নতুন দিন, পুরনো বাংলাদেশ। কেশব মহারাজের স্পিন বিষে বিধ্বস্থ বাংলাদেশ দল। মহারাজ-হারমারের বোলিং ঘূর্ণিতে মাত্র ৮০ রানেই শেষ বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। দুই টেস্টেই হতাশাজনক পারফরম্যান্সে ধবলধোলাই বাংলাদেশ। হতশ্রী ব্যাটিং পারফরম্যান্সে ভরাডুবি মুমিনুল-মুশফিকদের।
আগের দিনের ৩ উইকেটে ২৭ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। কেশব মহারাজের স্পিন বিষে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। দিনের শুরুতেই মুশফিক ফিরেন ব্যক্তিগত ১ রানে! এরপর মুমিনুক হক, ইয়াসির আলীরাও টিকতে পারেননি মহারাজ-হারমারের সামনে। মুমিনুল ৫ ও ইয়াসির আলী ফিরেন শূন্য রানেই। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে মাত্র ৮০ রানেই গুড়িয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
কেশব মহারাজ একাই শিকার করেন সাত উইকেট। এছাড়া সাইমন হারমার নেন তিন উইকেট। বাংলাদেশের পক্ষে লিটন দাস সর্বোচ্চ ২৭ ও মেহেদি হাসান মিরাজ করেন ২০ রান। মাত্র তিন ব্যাটার ছাড় কেউই পেরোতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটা। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৩৩২ রানের বড় জয়ে ২-০ তে সিরিজ জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মহারাজ, এলগার, বাভুমা, পিটারসেনদের ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে ৪৫৩ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২১৭ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
ফলো অন উঠিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৭৬ রানে ইনিংস ঘোষণা করে প্রোটিয়ারা। ৪১৩ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে মাত্র ৮০ রানে গুড়িয়ে যায় বাংলাদেশ। ৩৩২ রানের বিশাল জয়ে বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করলো প্রোটিয়ারা।
সিরিজের প্রথম টেস্টে হারমারের স্পিন বিষে মুখ থুবড়ে পড়ার পর পরের টেস্টেও মহারাজের স্পিন দাপটে বিধ্বস্থ বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজে জয় পেলেও টেস্টে হতাশাজনক পারফরম্যান্স দেখালো মুশফিক-মুমিনুলরা।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৫৩ ও ১৭৬/৬ (এরউই ৪১, বাভুমা ৩০; তাইজুল ৩/৬৭, মিরাজ ২/৩৪)।
বাংলাদেশ: ২১৭ (মুশফিক ৫১, ইয়াসির ৪৬; হারমার ৩/৩৯) এবং ৯.১ ওভারে ২৭/৩ (মহারাজ ২/১৭)।
দক্ষিণ আফ্রিকা – ১৭৬/৬ (৩৯.৫ ওভার); আরউই ৪১(৬৬), বাভুমা ৩০(৫৬); তাইজুল ১৫-২-৬৭-৩, মিরাজ ৯.২-৩-৩৪-২।
বাংলাদেশ – ৮০/১০ (২৩.৩ ওভার); লিটন ২৭(৩৩), মিরাজ ২০(২৫) তামিম ১৩(২২); মহারাজ ১২-৩-৪০-৭, হারমার ১১.৩-১-৩৪-৩।
ফলাফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ২৩২ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: কেশব মহারাজ
ম্যাচ সেরা: কেশব মহারাজ