যদি প্রশ্ন করা হয়, বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট কোনটি? নিঃসন্দেহে তাঁর উত্তরে বলা যায়, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। তবে সেই ভারতেই চলছে আন্তর্জাতিক শিরোপার খরা। এক দশকেরও বেশি সময় যাবত ভারতের ঘরে ঢুকেনি কোনো শিরোপা।
১৭ বছর ধরে ফ্রাঞ্চাইজি লিগে আধিপত্য দেখিয়ে আসছে আইপিএল। শত শত বিখ্যাত এবং অভিজ্ঞ ক্রিকেটার খেলে গিয়েছে এই টুর্নামেন্টে। ক্রমবর্ধমান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দৃষ্টিতে আইপিএল সর্বাধিক জনপ্রিয় লিগ৷ তবুও যেন সেসব বিনিয়োগ ভারতের জাতীয় দলের জন্য আন্তর্জাতিক সাফল্যে রূপান্তরিত হয়নি।
নিঃসন্দেহে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ নগদ অর্থ ও প্রতিভায় ভরপুর। সারা বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের আকর্ষণ করে। যদিও আইপিএলের আবির্ভাবের পর থেকে, ভারত আন্তর্জাতিক ট্রফি থেকে বেশ দূরেই আছে।
২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর, ভারত শুধুমাত্র একটি ফাইনালে পৌঁছেছে – ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছে। ভারত ইংল্যান্ডে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শিরোপা জিতেছিল ২০১৩ সালে। আর সর্বশেষ ৫০-ওভারের ফরম্যাটে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতেছিল ২০১১ সালে।
গত বছরটি সেই অর্থে ব্যতিক্রমী ছিল – ইংল্যান্ডে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে হেরেছিল ভারত এবং কয়েক মাস পরে, অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫০-ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনালও সেইবার ঘরের মাটিতে হেরেছিল।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত আগামী ৫ জুন আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে। তারপর ৯ জুন নিউইয়র্কে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে যা গ্রুপ পর্বের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ হতে চলেছে। আর তারপর ১২ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ১৫ জুন কানাডার সাথে খেলবে গ্রুপ পর্বের বাকি ম্যাচ।
যদিও প্রথম রাউন্ডে ভারতের জন্য একটি আপাতদৃষ্টিতে সোজা পথ। সুপার এইট পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজে পৌঁছানোর পরে দীর্ঘায়িত শিরোপা খরা শেষ করার উত্তেজনা বাড়বে ভারতের। তাছাড়া ভারতের কোটি কোটি ক্রিকেট ভক্ত দীর্ঘ দিনের শিরোপার স্বাদ পেতে মরিয়া হয়ে আছে। বিরাট কোহলি- রোহিত শর্মারা সেই আশার কতখানি মেটাতে পারে সেটাই এখন দেখার বিষয়।