প্রথমে বল হাতে ঝড় তুলে দিয়েছিলেন খালেদ-তানভিররা। সঙ্গ দিয়েছিলেন এবাদত-শরিফুল। পরে ব্যাটাররা এসে সেই ঝড়কেই পরিণত করলেন একতরফা সুনামিতে। নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল শুধু তাকিয়ে দেখল। যেন এক দল পর্যটক মাত্র।
মাত্র ১৩ রানে ৪ উইকেট নেই! এভাবেই শুরু হয় সফরকারীদের ভরাডুবির গল্প। নতুন বলে আগুন ঝড়ান শরিফুল-এবাদতরা। পরে যোগ হন খালেদ আহমেদ। তাদের স্পেলে ছিল গতি, ছিল ছন্দের বিকটতা। তানভির ইসলামের বাঁহাতি ঘূর্ণিতে তাল হারায় মিডল অর্ডার। উইকেটের পর উইকেট—একসময় স্কোরবোর্ডে যেন শুধু আসা-যাওয়ার গল্প। ১৪৭ রানে গুটিয়ে যাওয়া ইনিংসে প্রাণ ফেরানোর শেষ চেষ্টা করেছিলেন ডিন ফক্সক্রফট—৭২ রানের এক নি:সঙ্গ লড়াই।
কিন্তু একার হাতে যে ম্যাচ জেতানো যায় না। খালেদ-তানভিরের ঝুলিতে তিনটি করে উইকেট। এবাদত ও শরিফুলও আঘাত হেনেছেন দুইবার করে। এরপর শুরু হলো ব্যাটারদের উৎসব। দুই ওপেনার দ্রুত ফিরলেও রানের ঝড় শুরু করে দিয়ে যান।
চতুর্থ ওভারেই ফিরে যাওয়া পারভেজ হোসেন ইমন তুলে নিলেন ১২ বলে ২৪। পরের ওভারে নাঈম শেখ ফিরলেন ২০ বলে ১৮ রান করে। শুরুর সেই সুরেই বাজতে থাকে জয়ের সিম্ফনি। তারপর এলেন এনামুল হক বিজয়।
শুরুতে একটু ধীর, তারপর ছন্দে ফেরার চেষ্টা। অর্ধশতকের এক পা আগে থামতে হয়—তবু ৪৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংসে ছিল স্থিতি, ছিল দায়িত্ব। তাকে সঙ্গ দিতে আসেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। বিজয় ফিরে গেলে সোহান এসে যোগ দেন, আর তখনই ম্যাচের মঞ্চে লেখা হয় শেষ দৃশ্য। অঙ্কন অপরাজিত থাকেন ৬১ বলে ৪২ রান করে, সোহান থাকেন ২৬ বলে ২০ রানে।
শেষ পর্যন্ত জয়টা এল ১৩৬ বল হাতে রেখে—৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। সে জয় শুধু পরিসংখ্যান নয়, এ যেন এক প্রদর্শনী—দর্শকদের দেখিয়ে দেওয়া, প্রতিপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া। সিলেটের কড়া রোদঝলমলে দুপুরে বাংলাদেশ ‘এ’ দল শুধু জেতেনি, তারা একতরফা রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে।