না ফোটা ফুলের দল

ভারতীয় বোলিং আক্রমণের অন্যতম ভরসার জায়গা হলো স্পিন। এরপরেও কিছু পেসার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের সামর্থ্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। এদের বাইরেও কিছু পেসার ছিলেন এবং আছেন যারা নিজেদের সামর্থ্য থাকার পরও নিজেদেরকে মেলে ধরতে পারেননি।

ভারতীয় ক্রিকেটের মূল শক্তির জায়গা ব্যাটিং লাইন আপ। ভারতীয় ক্রিকেটে বোলারের থেকে বেশি সংখ্যক ব্যাটসম্যান এসেছেন। এরপরও ভারতীয় ক্রিকেটে কিছু বোলার আছেন যারা নিজেদেরকে অন্যন্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে গেছেন।

ভারতীয় বোলিং আক্রমণের অন্যতম ভরসার জায়গা হলো স্পিন। এরপরেও কিছু পেসার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের সামর্থ্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। এদের বাইরেও কিছু পেসার ছিলেন এবং আছেন যারা নিজেদের সামর্থ্য থাকার পরও নিজেদেরকে মেলে ধরতে পারেন নি।

  • ইরফান পাঠান

ইরফান পাঠান যখন জাতীয় দলে আসেন তখন তাকে ভারতীয় বোলিং আক্রমণের অন্যতম সেরা বোলার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে হ্যাট্রিক করে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দেন। তাকে ভবিষ্যত সেরা পেসার হিসেবে বিবেচনা করার জন্য এই পারফর্মেন্সই ছিলো যথেষ্ট।

২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়ে ক্যারিয়ারের সেরা ছন্দে ছিলেন তিনি। এরপর ইনজুরি এবং খারাপ পারফর্মেন্সের কারণে আর কখনোই জাতীয় দলে নিয়মিত হতে পারেননি তিনি।

  • রুদ্র প্রতাপ সিং (আরপি সিং)

বেশির ভাগ ক্রিকেট সমর্থক আরপি সিংকে মনে রাখবেন তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে বল হাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিলো আরপি সিংয়ের।

তিনি বলে দূর্দান্ত সুইং এবং গতি দিতে পারতেন। তিনি তাঁর বোলিং দিয়ে ডেকান চার্জার্সেরকে তাদের প্রথম আইপিএল জেতাতে ভূমিকা রাখেন। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে তিনি জাতীয় দলে নিয়মিত ভালো করতে পারেননি।

  • আশিষ নেহেরা

আশিস নেহরা ভারতের অন্যতম সেরা পেসারদের মধ্যে একজন। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রতিভার ছাপ পরিপূর্ণ ভাবে রাখতে পারেননি তিনি।

ইনজুরি জনিত সমস্যার কারণে বেশিরবভাগ সময়ে মাঠে বাইরে ছিলেন তিনি। ইনজুরি এবং তাঁর পরবর্তী সময়ে ফিট হতে বেশি সময় ব্যয় করেছেন তিনি। ভারতের হয়ে ২০০৩ এবং ২০১১ বিশ্বকাপে খেলেছেন তিনি।

নেহেরা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য সঠিক বোলার ছিলেন না। তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বেশ কার্যকর ছিলেন তিনি। ২০১১ সালের পর ভাবা হয়েছিলো আশিস নেহেরা হারিয়ে গিয়েছেন তিনি আর ফিরতে পারবেন না। এরপর ২০১৬ সালে আবারো জাতীয় দলে ফিরেন তিনি এবং দুর্দান্ত পারফর্ম করে ক্রিকেটকে বিদায় জানান।

  • ভেঙ্কটেশ প্রাসাদ

ভেঙ্কটেশ প্রসাদ ছিলেন ৯০-এর দশকে ভারতের সেরা পেসার। কিন্তু তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা সময় ছিলো বেশ ছোটো। তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বিখ্যাত ঘটনা ছিলো পাকিস্তানের আমির সোহেলের সাথের ঘটনা। প্রসাদ ছিলেন একজন উইকেট শিকারী বোলার। যদিও, জাভাগাল শ্রীনাথের আড়ালেই থেকেছেন বেশিরভাগ সময়।

প্রাসাদ কখনো তাঁর নিজের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে খেলতে পারেননি। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সফল না হলেও কোচিং ক্যারিয়ারে বেশ সফল ভেঙ্কেটেশ প্রাসাদ।

  • লক্ষ্মীপতি বালাজি

তামিলনাডুর এই পেসার ছিলেন তাঁর দলের সেরা একজন পেসার। আইপিএলের বিভিন্ন আসরেও বেশ দূর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন। কিন্তু জাতীয় দলে বেশ ছোটো সময় খেলেছিলেন।

ভারতীয় জাতীয় দলকে বড় সময়ের জন্য সার্ভিস দিতে পারেননি তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত পারফর্ম করতে পারলেও জাতীয় দলের হয়ে পারফর্ম করতে পারেননি তিনি। তাই বালাজিকে জাতীয় দলের হয়ে বেশি খেলতে দেখা যায় নি। এখন তিনি কোচ বনে গেছেন, কাজ করেন আইপিএলেও।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...