ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়ম করে দ্যুতি ছড়ায় এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট। তবুও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বর্ণিল দ্বার তার জন্য থাকে প্রায় অবরুদ্ধ। এতকিছু ভাবলে নিশ্চয়ই ক্রিকেটকে আর উপভোগ করা যায় না। বিজয় তাই বাইশ গজে নিজের প্রাপ্ত সময়টুকু উপভোগ করে যেতে চান। আর একজন ব্যাটারের জন্য রান করাই তো আনন্দের সর্বোচ্চ উপলক্ষ।
দুর্বার রাজশাহীর হয়ে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সময়ই পার করছেন তিনি। একাদশ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে তার উপর এসেছে এক বাড়তি দায়িত্ব। বাংলাদেশের ভবিষ্যত অধিনায়ক ভাবা হচ্ছে আকবর আলীকে। সদ্য তার অধীনে এনসিএল টি-টোয়েন্টি শিরোপা জিতেছে রংপুর বিভাগ।
তাছাড়া অধিনায়ক হিসেবে ভক্ত-সমর্থকদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে আকবর। তাকে রেখে রাজশাহীর অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছে বিজয়কে। তবুও এত চাপের দায়িত্ব বেশ বলিষ্ঠ কাঁধে সামলে নিচ্ছেন। অধিনায়ক হিসেবে দলের জয় নিশ্চিতের কাজটাও করছেন তিনি। টানা দু’টো হাফ-সেঞ্চুরি এসেছে তার ব্যাট থেকে।
তাসকিন আহমেদের রেকর্ড গড়া বোলিং পারফরমেন্সের দিনে দলকে তো আর হারতে দেওয়া যায় না। তাইতো অধিনায়ক হিসেবে দলের জাহাজের দক্ষ নাবিকের পরিচয় দিয়েছেন এনামুল হক বিজয়। ঢাকা ক্যাপিটালসের ১৭৫ রানের লক্ষ্যমাত্রাকে মামুলি বানিয়েছে বিজয়ের সেই সবুজ রাঙা কুকাবুরা ব্যাট।
তিন নম্বর ব্যাটার হিসেবে বাইশ গজে নেমে শেষ অবধি তিনি দলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। নামের পাশে তখন শোভা পাচ্ছে ৭৩ রান। নিয়ম করে ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করে যাওয়া বিজয়ের এক নিত্যদিনের অভ্যাস। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ হোক কিংবা বিপিএল- সর্বত্র রান করতে পছন্দ করেন তিনি। তাকে ঘরোয়া ক্রিকেটের অবিসংবাদিত এক চরিত্র বললেও ভুল বলা হয় না।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ অবশ্য তিনি খুব একটা পান না। সেটার দায়ও অবশ্য তার নিজের। জাতীয় দলের জার্সি চাপালে ধারাবাহিক বিজয় প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে পারেননা। ঠিক সে কারণেই হয়ত সংক্ষিপ্ত সফরগুলো হয় না দীর্ঘায়িত। তাই বলে নিশ্চয়ই ঘরোয়া ক্রিকেটে তার অবদান, তার সংগ্রাম মিথ্যে হয়ে যায় না।