বিজয়ের চোখেমুখে শতকের চওড়া হাসি

এসব নিয়ে এখন আর বিজয়ের আক্ষেপ নেই। তিনি পারফরম করার দিকেই দিয়েছেন মনোযোগ। তাইতো ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম ধারাবাহিক ব্যাটারে পরিণত হয়েছেন তিনি।

আরও একটি শতকের দেখা পেল এনসিএল টি-টোয়েন্টি। এবারে এনামুল হক বিজয়ের হাতে ধরা দিল তিন অংকের সেই ম্যাজিকাল ফিগার। খুলনার হয়ে দূর্দান্ত এক ইনিংসই উপহার দিয়ে গেলেন বিজয়। শেষ অবধি অপরাজিতও থেকেছেন তিনি।

ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফরম করে যান এনামুল হক বিজয়। বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে তিনি ভীষণ ধারাবাহিক। এবারের এনসিএলেও সেই ধারাই রয়েছে অব্যাহত। ব্যাটে রান আসছে নিয়ম করেই। কিন্তু বড় একটা ইনিংসের অপেক্ষাতেই যেন ছিলেন তিনি।

সেই অপেক্ষা শেষ হয়েছে অবশেষে। ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে শতক ছাড়ানো ইনিংস খেলেছেন বিজয়। প্রায় ১৫০ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাট চালিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ইনিংসে পাঁচটি বিশাল ছক্কাও হাঁকিয়েছেন এই ওপেনার। তাছাড়া দশটি চারও এসেছে তার ব্যাট থেকে। মাত্র ৬৭ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত থেকেছেন বিজয়।

অনবদ্য এক ইনিংস বললেও ভুল বলা হবে না নিশ্চয়ই। তার সেঞ্চুরির কল্যাণে ১৮০ রানের সংগ্রহ পায় খুলনা। বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সংগ্রহ ছাড়ায়নি ২০০ রানের গণ্ডি। সে দায় নিশ্চয়ই এনামুল হক বিজয়ের নয়। তিনি নিজের কাজটা যথাযথভাবেই করার চেষ্টা করেছেন। এই কাজটা তিনি ধারাবাহিকভাবেই করে যান।

কিন্তু তবুও জাতীয় দলের দ্বার তার জন্যে থেকে যায় অবরুদ্ধ। কোন এক অজানা কারণে তিনি জাতীয় দলের জন্যে বিবেচিত হননা। প্রাথমিক দলে থাকেন, এমনকি স্কোয়াডেও থাকেন কিন্তু একাদশে সুযোগ তার হয়ে ওঠে না। দূর্বলতা আর বাকি সবার মত তারও রয়েছে। কিন্তু তিনি যেন বড্ড বেশি অভাগা।

এসব নিয়ে এখন আর বিজয়ের আক্ষেপ নেই। তিনি পারফরম করার দিকেই দিয়েছেন মনোযোগ। তাইতো ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম ধারাবাহিক ব্যাটারে পরিণত হয়েছেন তিনি। এমন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও সামর্থ্যের প্রমাণ রাখার আপ্রাণ চেষ্টাতেই রয়েছে বিজয়।

Share via
Copy link