অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন, গুজরাট টাইটান্সের আইপিএল যাত্রার শুরুটা হয়েছিল স্বপ্নের মত। কিন্তু পরের বছরই স্বপ্ন যাত্রা মুখ থুবড়ে পড়ে, প্লে-অফে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয় তাঁরা। তবে নতুন আসর শুরুর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে পুরনো কথা ভাবতে চায় না দলটা, বরং সাফল্যের দিকেই সবটুকু মনোযোগ। বৈচিত্র্যময় বোলিং আক্রমণভাগ এক্ষেত্রে এগিয়ে রাখবে তাঁদের।
- নতুন বলে রাবাদা-সিরাজ জুটি
এবার নতুন বলে সবচেয়ে বিধ্বংসী বোলিং জুটি সম্ভবত গুজরাটেরই। একদিকে আছেন কাগিসো রাবাদা, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ তিনি আবার আইপিএলেরও প্রমাণিত পারফরমার। অন্যদিকে নতুন বলে প্রতিপক্ষের টপ অর্ডার ধসিয়ে দিতে সিদ্ধহস্ত মোহাম্মদ সিরাজ। একদিকে পেস আর বাউন্স, অন্যদিকে সিম মুভমেন্ট আর সুইং – এখন কেবল মাঠে এসবের প্রতিফলন দেখার অপেক্ষা সবার।
- ঘূর্ণি জাদুর কৌটা হাতে রশিদ খান আর ওয়াশিংটন সুন্দর
রশিদ খানকে ১৮ কোটি রুপি দিয়ে রিটেইন করেছে গুজরাট। তিনি অবশ্য সেটার প্রাপ্য দাবিদার বটে; টুর্নামেন্টের ইতিহাসে তাঁর ইকোনমি সাতের কম আর উইকেট নিয়েছেন ১৪৯টা। আফগান স্পিনারের বিপক্ষে রান করা প্রায় অসম্ভব, এমনকি উইকেট বাঁচিয়ে রাখাও কঠিন।
এই লেগি যদি একপ্রান্তে চাপ তৈরি করেন তাহলে অন্যপ্রান্তে ব্যাটারের নাভিশ্বাস তুলবেন ওয়াশিংটন সুন্দর। আঁটসাঁট লাইন লেন্থে বল করে ম্যাচের গতিপথ বদলে দিতে পারেন তিনি। দলটার জন্য এক্স ফ্যাক্টর হতে যাচ্ছেন এই অফ স্পিনার।
- ডেথে রান আটকাতে প্রস্তুত প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা আর রাবাদা
ডেথ ওভারের জন্য গুজরাট ভরসা রেখেছে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার ওপর। স্লোয়ার, ইয়র্কার সহ একগাদা ভ্যারিয়েশন আছে তাঁর ঝুলিতে। সেই সাথে রাবাদা তো আছেনই। নতুন বলে উত্তাপ ছড়ানোর পর ইনিংসের শেষদিকে তিনি ফিরবেন ব্যাটারদের ত্রাস হয়ে। এই দু’জন নিজেদের কাজ ঠিকঠাক করতে পারলে রান আটকানো নিয়ে সমস্যা হবে না গুজরাটের।
এছাড়া স্পিন বান্ধব উইকেটে সাঁই কিশোর আছেন, আবার উল্টোটা হলে জেরাল্ড কোয়েটজিকে ব্যবহার করতে পারবে টিম ম্যানেজম্যান্ট। অলরাউন্ডার হিসেবে রাহুল তেওয়াটিও আছেন স্কোয়াডে। সবমিলিয়ে অধিনায়ক শুভমান গিল নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন তাঁর বোলিং অপশন নিয়ে।