বক্স অফিস রাসেল

কলকাতার ইনিংসটা ২০০-এর উপর গেল কেবল তাঁর জন্যই। ইনিংসে ছক্কাই কেবল ছয়টা। বাউন্ডারি চারটা। কেবল চার-ছক্কায় আসল ৫২ রান।

টানা ফ্লপ যাচ্ছে ছবি। কেউ ভরসা রাখছে না। দর্শকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। কেউ টাকা ঢালতে রাজি না। এমন সময় আসলেন তিনি জ্বলে উঠলেন। ব্লকবাস্টার। পর্দা কাঁপল। না, এই গল্প শাহরুখ খানের নয়। এই গল্প জাওয়ান কিংবা পাঠানের নয়। এই গল্প আন্দ্রে রাসেলের। দ্য বক্স অফিস রাসেল ইজ ব্যাক।

তিনি যখন বলটাকে পেটাবেন, তখন বোলারও জানেন এর কোনো ব্যতিক্রম হবে না। ফিল্ডারও জানেন, কোথায় বল আসবে। তারপরও করার কিছু থাকবে না। তিনি খেলবেন, রান করবেন, চার-ছক্কা হাকাবেন – বাকি সবাই তাকিয়ে দেখবেন শুধু।

ইনিংসের শেষ অবধি থাকলেন। কলকাতার ইনিংসটা ২০০-এর উপর গেল কেবল তাঁর জন্যই। ইনিংসে ছক্কাই কেবল ছয়টা। বাউন্ডারি চারটা। কেবল চার-ছক্কায় আসল ৫২ রান। এ যেন ভিনটেজ আন্দ্রে রাসেল।

কিভাবে ফিরে আসতে হয় সেটা জানেন শাহরুখ খান। তিনি অজস্র ফ্লপের পর ফিরেছিলেন পাঠান দিয়ে, জাওয়ান দিয়ে গড়েছিলেন ইতিহাস। সেই জাওয়ানের ম্যানেজমেন্ট বরাবরের মত এবারও ভরসা রেখেছে আন্দ্রে রাসেলের ওপর।

ফিরতে অনেক বেশিই সময় নিয়ে ফেলেছেন। খেলার জন্য স্পেসও পেয়েছেন কম। কিন্তু, যেদিন পেলেন – সেদিন চেনা রুপে দেখা গেল তাঁকে। শাহরুখ খান এদিন ইডেন গার্ডেন্সে ছিলেন না। থাকলে দেখতেন, ফিরে আসাটা তাঁর চেয়েও ভাল করে দেখাতে জানেন আরেকজন। টি-টোয়েন্টিতে আজও আন্দ্রে রাসেল একজনই।

Share via
Copy link