১-০ স্কোরলাইন। কোনভাবেই এই স্কোরলাইন পুরো ম্যাচে ব্রাজিলের দাপটের প্রতিফলন নয়। বরং ফিনিশিংয়ে খাবি খাওয়ার চিত্রই ফুটে উঠেছে। তবে বদল যে এসেছে ব্রাজিল দলে, সেটা বলে দেওয়া যায় চোখ বন্ধ করে। কার্লো আনচেলত্তির ছোঁয়ায় পালটে যাচ্ছে পরিস্থিতি। শঙ্কার মেঘ হটিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপেও জায়গা পোক্ত করেছে ব্রাজিল।
এই তো সেদিনও ব্রাজিলের খেলায় নান্দনিকতার ছিটেফোঁটাও ছিল না। আক্রমণে গোটা দল ছিল ভোঁতা। এমন একটা দলের দায়িত্ব নেবেন আনচেলত্তি- সেই অপেক্ষার প্রহর অবশেষে শেষ হয়েছে। এবার তাই আক্রমণের ধার বাড়তে শুরু করেছে।
এই প্যারাগুয়ের বিপক্ষে শেষ দেখাতেও পরাজিত হতে হয়েছে ব্রাজিলকে। সেই প্যারাগুয়ের রীতিমত নাভিশ্বাস তুলে ফেলেছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রাফিনহারা। তাদের একের পর এক আক্রমণে প্যারাগুয়ে ছিল ব্যতিব্যস্ত। ম্যাচের প্রায় ৭৩ শতাংশ সময়ে বলের দখল নিজেদের আয়ত্ত্বেই রেখেছিল।
১১ খানা শট চালিয়েছে ব্রাজিল। যার একটি শটে হয়েছে লক্ষ্যভেদ। মাথিউস কুনহার বাড়িয়ে দেওয়া একটা লো ক্রসে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ভিনিসিয়াস। ম্যাচের ৪৪ মিনিটের সেই একটি গোলই জয়ের জন্যে যথেষ্ট প্রমাণিত হয় ৯০ মিনিট শেষে।
এই একটা জায়গায় ব্রাজিলের বেশ দূর্বলতা সাম্প্রতিক সময় জুড়ে। এমনকি ২০২২ বিশ্বকাপেও এই দূর্বলতার বলি হতে হয়েছে। নেইমার জুনিয়ারের একক নৈপুন্যে এতদিন আড়ালে থেকেছে স্ট্রাইকিং বা ফিনিশিং অদক্ষতা। কিন্তু এবার কার্লোর সামনে মূল চ্যালেঞ্জ একজন প্রোলিফিক গোলস্কোরার খুঁজে বের করা বা তৈরি করা।
কার্লোর অধীনে ব্রাজিল যে সঠিক পথেই আছে তা অন্তত এই প্যারাগুয়ে ও এর আগের ইকুয়েডরের ম্যাচগুলোই বলে দিচ্ছে। সেলেসাওরা ফিরছে তাদের পুরনো আগ্রাসী রুপে। এখনই অবশ্য বলার উপায় নেই অপ্রতিরোধ্য এক ফোর্সে রুপান্তরিত হয়ে গেছে ব্রাজিল। সময় লাগবে, আর প্রয়োজন ধৈর্য। আগ্রাসন যেহেতু ফিরেছে, ফিরবে নান্দনিকতাও।