আরও এক শ্বাসরুদ্ধকর সেমিফাইনাল, আরও কিছু নাটকীয় দৃশ্যের মঞ্চায়ন ঘটল। তবে জয়ের পাল্লাটা পাকিস্তান শাহিনসেরই পক্ষে গেল। পাঁচ রানের আক্ষেপে পুড়ে বিদায় নিল লঙ্কানরা। আর তাতেই বাংলাদেশের পর ফাইনালের টিকিট কাটল পাকিস্তান।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা যতটা ভালো ছিল সময়ের সাথে তা যেন বিষাদে রূপ নিল। ৩০ রানে এক উইকেট হারানো দলটা ৬২ রানে হারাল পাঁচ উইকেট। গ্রুপ পর্বে মিডল অর্ডারটা ওপেন হয়নি পাকিস্তানের। তবে সেমিফাইনালে পা রাখতেই উঠে এল ব্যর্থতা।
বিপর্যয় সামাল দেন গাজি ঘরি, সাথে সঙ্গ দেন সাদ মাসুদ। দুজনের ব্যাটে কোনোমতে মান বাঁচায় পাকিস্তান। তবুও লড়াই করার জন্য যে কিছুটা পুঁজি চাই, সেই কাজটাই করলেন আহমেদ দানিয়াল, ৮ বলে ২২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তিনি। যার ফলে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে আসে ১৫৩ রানের লড়াই করার মতো সংগ্রহ। শ্রীলঙ্কার হয়ে বল হাতে প্রমদ মাধুসান শিকার করেন চার উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে লাসিথ ক্রসপুলের ব্যাটে দুরন্ত শুরু পায় লঙ্কানরা। প্রথম ওভার থেকেই আসে ১৭ রান। তবে ২৭ রানেই থামতে হয় তাঁকে। তবুও রানের চাকা সচল থাকে লঙ্কানদের। স্কোরবোর্ডে চাপটা যে খুব বেশি নয়। তবে পাকিস্তানের হাত থেকে ফসকে যেতে থাকা ম্যাচটাকে জাদুকরী বোলিংয়ে নিজেদের হাতে টেনে নেন সুফিয়ান মুকিম।
চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৩ রান দিয়ে মুকিম শিকার করেন তিন উইকেট। সতীর্থ সাদ মাসুদই বা কম যাবেন কেন। লঙ্কান বধে এগিয়ে এলেন তিনিও। চার ওভারে ১৮ রান খরচায় তিন লঙ্কান ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান তিনি। আর তাতেই ম্যাচের লাগাম চলে আসে পাকিস্তানের হাতে। তবে শেষ বেলায় মিলান রত্নায়েক একটা শেষ লড়াই চালান।
আশার শেষ চিহ্নটুকু যখন মুছে যেতে বসেছে তখনই নতুন করে স্বপ্ন দেখান তিনি। তবে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের বলি হয়ে লঙ্কানদের ভাগ্য সাথে নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। পাঁচ রানের জয়ে ফাইনালে পা রাখল পাকিস্তান, সেখানে অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ দল। কার হাতে উঠবে শিরোপা, সেটারই এখন অপেক্ষা।












