বুমরাহের শিকারি বলয়ে একদিনেই গুটিয়ে গেছে প্রোটিয়ারা

টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে দিনশেষে হয়ত আফসোসই করবেন টেম্বা বাভুমা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে একটুখানি বাড়তি আত্মবিশ্বাসই যেন ডোবাল তাদের।

একদিনও টিকতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা। জাসপ্রিত বুমরাহ নামক দৈত্যের সামনে মাথানত করেছে প্রোটিয়ারা। বুমরাহের বোলিং তোপে, ছন্নছাড়া টেম্বা বাভুমার দূর্গ। দক্ষিণ আফ্রিকার আগ্রাসনের অগ্নিকূণ্ডে দাঁড়িয়ে বুমরাহ করলেন তাণ্ডব নৃত্য। সতীর্থদের যোগদানে প্রলয়ের তোপে সফরকারীরা পরাস্ত।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে দিনশেষে হয়ত আফসোসই করবেন টেম্বা বাভুমা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে একটুখানি বাড়তি আত্মবিশ্বাসই যেন ডোবাল তাদের। কলকাতা টেস্টের প্রথম দিনেই প্রোটিয়ারা প্যাভিলিয়নে। স্কোরবোর্ডে স্রেফ ১৫৯ রানই যুক্ত করতে পেরেছে তারা।

অথচ, শুরুর দশ ওভারেই ৫৭ রান তুলে ফেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পরবর্তী ১০২ রানের মধ্যেই অলআউট হয়েছে প্রোটিয়ারা। যে যাত্রার শুরুটা হয়েছিল অতিমানব বুমরাহের হাত ধরে। দুই ওপেনারকেই সাজঘরে পাঠিয়ে শুরু। এরপর টনি ডি জর্জিও টের পেলেন কে আসল গুরু।

দুই ওপেনারের মত দুই টেল এন্ডারকেও বুমরাহ দেখিয়েছেন মাঠ ছাড়ার রাস্তা। ক্যারিয়ারে ১৬তম বার ফাইফার তুলে নিলেন ভারতের ধ্রুপদী সেনানি। বুমরাহের সৃষ্টি করা শিকারি বলয়ের ভেতর থেকেই মোহাম্মদ সিরাজ বাগিয়েছেন দুইটি উইকেট। চায়নাম্যান কুলদ্বীপের ঘূর্ণিতে ঘুরপাক খেয়েছেন আরও দুইজন। অক্ষর প্যাটেল কোন মতে একটি উইকেট নিজের পকেটে পুরেছেন।

ছয় বোলারের ভারতীয় একাদশের সুফল পেল শুভমান গিলের দল। এই টেস্টে এখন চাইলেই পাবে তারা ইনিংস ব্যবধানে জয়। সেজন্য অবশ্য ব্যাটারদেরও দেখাতে হবে দৃঢ়তা। বুমরাহ তো জয়ের পথটা তৈরি করেই দিলেন নিজ হাতে। দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনি বোলিংটা নিশ্চয়ই সামলে নেবেন।

 

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link