বুমরাহ ঝড়ে ম্লান আশুতোষের বীরত্ব

ভারত যেই ফরম্যাটেই খেলুক, যেখানেই খেলুক তাঁদের দলের সেরা বোলারের নামটা সবসময়ই জাসপ্রিত বুমরাহ হবে। কেননা ফরম্যাট কিংবা পিচের ধরনে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব আটকে থাকেনি। এমনকি ম্যাচ পরিস্থিতিও তাঁকে সেরাটা উজাড় করে দিতে বাঁধা দিতে পারে না। ঠিক সেটাই আইপিএলে প্রমাণ করে চলছেন তিনি; নতুন বল হাতে অথবা ডেথ ওভারে সমানভাবে পারফরম করছেন।

সবশেষ পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্য দেখিয়েছেন এই পেসার। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ২১ রান খরচ করেছেন, বিনিময়ে উইকেট তুলেছেন তিনটি। তবে পরিসংখ্যানের তুলনায় তাঁর ইম্প্যাক্ট ছিল ঢ়ের বেশি। বলতে গেলে, মুম্বাইকে প্রায় একাই দুই পয়েন্ট এনে দিয়েছেন তিনি।

আশুতোষ শর্মা, শশাঙ্ক সিং এর আগে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়েই বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। এদিনও সেটার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চেয়েছিলেন তাঁরা, কিন্তু বুমরাহ থাকায় সেটা আর সম্ভব হয়নি। ২৫ বলে ৪১ রান করা শশাঙ্ককে আউট করে এই বোলার পাঞ্জাবের কাজটা কঠিন করে দিয়েছিলেন।

এরপর আবার ইনিংসের সতেরোতম ওভারে যখন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া তাঁকে আক্রমণে নিয়ে আসেন তখন আঁটসাঁট বোলিংয়ে কঠিন কাজটা একেবারে অসম্ভব করে তুলেন তিনি। সেই ওভারের প্রথম তিন বলে তিন রান দিলেও শেষ তিন বলে কোন রান নিতে দেননি। ফলে আস্কিং রান রেট বেড়ে গিয়েছিল, যার কারণে সেট ব্যাটার আশুতোষ পরের ওভারের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান।

গল্পের শুরুতেও চিত্রটা এমন ছিল; নতুন বল হাতে এই ডানহাতি স্রেফ তান্ডব চালিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন প্রোটিয়া পেসার জেরাল্ড কোয়েটজি। তাতেই এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল স্যাম কারানদের ব্যাটিং লাইনআপ। স্রেফ ১৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে বসে তাঁরা, এরপর অবশ্য প্রতিরোধ গড়েছেন পরের দিকের ব্যাটাররা।

বিশেষ করে শশাঙ্ক ও আশুতোষ অসম্ভব একটা কিছু করে ফেলার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। একটা সময় তাঁদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ম্যাচ হেলে যায় পাঞ্জাবের দিকে, যদিও শেষমেশ জাসপ্রিত বুমরাহর সঙ্গে পেরে উঠেননি তাঁরা। বৃথা গিয়েছে আশুতোষের ২৮ বলে ৬১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস; নয় রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link