চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তান কি ইতিহাস গড়বে?

২১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে আফগানিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশন। নিজেদের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি রাঙিয়ে রাখতে নিশ্চয়ই কমতি রাখবে না তাঁরা। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা এক্ষেত্রে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিবে তাঁদের - এখন দেখার বিষয়, আইসিসির টুর্নামেন্টে নিজেদের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে কি না দলটা।

২০২৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ, ভারত আর নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পরও আফগানিস্তান আমূল বদলে গিয়েছিল। চমক সৃষ্টি করে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছিল, এরপর একটানা জিতেছিল পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়াকেও প্রায় ধরে ফেলেছিল, কিন্তু গ্লেন ম্যাক্সওয়েল সেদিন অতিমানব হয়ে রক্ষা করেছিলেন অজিদের।

অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে না পারলেও ততদিনে ওয়ানডেতে নিজেদের পরাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে আফগানরা। বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের কাছাকাছি গিয়েও পারেনি সেমিতে উঠতে। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেই আক্ষেপ মেটানোর সুযোগ আছে তাঁদের সামনে। বিশেষ করে এশিয়ান কন্ডিশনে খেলা হওয়ায় দলটার ভাল সম্ভাবনা রয়েছে ইতিহাস গড়ার।

ভারত বিশ্বকাপের পর এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচ খেলে আফগানিস্তান জিতেছে আটটিতে, এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতার স্মৃতি তো একেবারে তরতাজা। এছাড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতেছিল তাঁরা। সবমিলিয়ে সাম্প্রতিক ফর্ম তাঁদের হয়েই কথা বলছে।

স্কোয়াডের দিক দিয়েও আফগানরা এগিয়ে আছে, টপ অর্ডারে রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে তরুণ তুর্কি সেদিকুল্লাহ অটল আছেন। তিনজনেরই দলকে দারুণ ভিত গড়ে দেয়ার সামর্থ আছে। মিডল অর্ডারে অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী, হাসমতউল্লাহ শহিদী আছেন। তবে সবচেয়ে বড় অস্ত্র ইনফর্ম আজমতউল্লাহ ওমরজাই।

আর বোলিং তো বরাবরই দলটার শক্তির জায়গা, রশিদ খান সহ বাকি স্পিনাররা আছেন দুর্দান্ত ছন্দে। এখন কেবল পরিচিত কন্ডিশনে স্পিনের মোহ জাল সৃষ্টির পালা। আর এমনটা করতে তিন সেনা দেশ – দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়াকে হারানো কঠিন কোন বিষয়ই না।

২১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে আফগানিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশন। নিজেদের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি রাঙিয়ে রাখতে নিশ্চয়ই কমতি রাখবে না তাঁরা। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা এক্ষেত্রে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিবে তাঁদের – এখন দেখার বিষয়, আইসিসির টুর্নামেন্টে নিজেদের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে কি না দলটা।

Share via
Copy link