বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স সন্তুষ্ট করতে পারেনি কাউকেই, নয় ম্যাচ খেলে টাইগাররা জিতেছে কেবল মাত্র দুইটিতে। তাই তো এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সের কারণ খুঁজতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তিন সদস্য বিশিষ্ট এই পরিষদ পর্যায়ক্রমে ক্রিকেটার এবং বিশ্বকাপ দল সংশ্লিষ্ট সবার সাক্ষাৎকার নিচ্ছে।
তবে গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বকাপে খারাপ পারফরম্যান্সের কারণ বের করা চেয়েও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা কোচের ভূমিকা নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। কেউ কেউ হাতুরুসিংহের বিপক্ষেই তথ্য-প্রমাণ চাইছেন। বিশেষ করে লঙ্কান এই কোচের বিপক্ষে গণমাধ্যমের সুবাদে বে বিরাট রকমের এক অভিযোগ পাওয়া গেছে, সেই গুঞ্জনেরও সূরাহা খোঁজা হচ্ছে।
বিশ্বকাপের আগে থেকেই এই লঙ্কানের সঙ্গে প্যানেলের বাকি কোচদের বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল। রাসেল ডমিঙ্গোকে বিদায় করে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া মেনে নিতে পারেননি অ্যালান ডোনাল্ড সহ কয়েকজন। ফলে প্রধান কোচের বিপক্ষে একরকম অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা।
অবাক করার বিষয়, হাতুরুসিংহে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের কর্তাদেরও অপছন্দের ব্যক্তি! কেননা, হাতুরুসিংহে সরাসরি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ক্রিকেটারদের ব্যাপারে যে কোনো সিদ্ধান্ত বোর্ড সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত করে ফেলেন, তাই নিজেদের অবহেলিত মনে করে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের খারাপ খেলার পেছনে এমন বিভাজন বড় একটা কারণ সেটা মানেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও। কিন্তু মূল্যায়ন কমিটির সামনে এ নিয়ে কথা বলতে চান না তাঁরা। সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ মনে করছেন, এখানে কোচের হাতও আছে বেশ জোরেসোরেই।
এখন দেখার বিষয়, বিশ্বকাপ মিশনের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে কি বলা হয়। এরপর অবশ্য বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনই শেষ সিদ্ধান্ত নিবেন; তিনি চাইলে নতুন কোচ পাবে নাজমুল শান্তরা, আবার না চাইলে হাতুরুকে সরানোর সাধ্য কার?