টানা দুই ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করা রংপুর রাইডার্স, শেষ দুই ম্যাচে জিতে প্রায় অলৌকিক ভাবেই পৌছে গেছে গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালে। শেষ ম্যাচে লাহোর কালান্দার্সকে ২৩ রানের ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম কোন বাংলাদেশী দল হিসেবে বৈশ্বিক কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌছায় রাইডার্সরা। কিন্তু সেই ফাইনালে অংশগ্রহণই যেন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে রংপুর রাইডার্সের জন্য।
খেলোয়াড় সংকটের কারণে টুর্নামেন্টের ফাইনালে মাঠেই নাও নামতে পারে রংপুর। বিদেশী খেলোয়াড়দের চুক্তি নয়, বাদ সেধেছে দেশী খেলোয়াড়দের জাতীয় দলের হয়ে দায়িত্ব।
গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনাল ৭ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় সকাল ৫টায়। এদিকে ৮ডিসেম্বর রাত ৮টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে তে মাঠে নামবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। জাতীয় দলের তিন খেলোয়াড় সৌম্য, আফিফ এবং রিশাদকে তাই বিসিবি থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, ফাইনালের না খেলেই দলের সাথে যোগ দেয়ার জন্য।
গ্লোবাল সুপার লিগের নিয়ম অনুযায়ী, নূন্যতম ৬ জন দেশীয় খেলোয়াড় থাকতে হবে প্রত্যেক দলের একাদশে। সাইফুদ্দিনের ইঞ্জুরি এবং জাতীয় দলের ৩ খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতিতে, ৬ জন দেশীয় খেলোয়াড় নিয়ে মাঠে নামার সুযোগ নেই রংপুর রাইডার্সের। এতটা দূরত্বে এই স্বল্প সময়ে বাংলাদেশ থেকেও নতুন করে খেলোয়াড় পাঠানোর সুযোগ নেই। ফলে, ভালো বিপাকেই পড়েছে রংপুর রাইডার্স।
জাতীয় দলের সাথে যেন ক্ল্যাশ না ঘটে, সেকারনেই জিএসএল টি২০ টুর্নামেন্টের সময় রাখা হয়েছিলো একদিন আগে। এমনকি ফাইনালের আগে কোন ‘ব্রেক’ও রাখা হয় নি। কিন্তু জিএসএলের ভেন্যু গায়ানা থেকে বাংলাদেশের ওডিআই সিরিজের ভেন্যু ১৪৫০ কি.মি. দূরত্বে। বিসিবি তারাহুরো করে ফাইনাল শেষ করে এই দূরত্ব পাড়ি দিয়ে ক্লান্ত খেলোয়াড়দের দলের সাথে চায় না বলেই বেকে বসেছে।
যদিও রংপুর ফ্রাঞ্চাইজির সাথে এখনো বিসিবির আলোচনা চলমান। শেষ পর্যন্ত যদি রংপুর বিসিবিকে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়, তবে পর্যাপ্ত লোকাল খেলোয়াড়ের অভাবে এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারাবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে বৈশ্বিকভাবে যে বাজে ভাবমূর্তি, তার অবস্থান আরো একধাপ দীর্ঘ হবে।
রংপুর রাইডার্সের ফাইনাল ঘিরে এখন দুইটি সম্ভাবনা রয়েছে। বিসিবি নমনীয় হয়ে সৌম্য, আফিফ, রিশাদদের ফাইনাল খেলার অনুমতি দিতে পারে। সেক্ষেত্রে ম্যাচ এবং ভ্রমণ ক্লান্তির খেলোয়াড়দের নিয়ে ওডিআই দল সাজাতে হবে। অথবা, বিসিবি নমনীয় না হয়ে, রংপুরকে বিপাকে ফেলতে পারে। সেক্ষেত্রে ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বাংলাদেশেরও। তৃতীয় আরেকটি সম্ভাবনা তৈরি হবে কি? ব্যাট-প্যাড নিয়ে মাঠে খেলতে নেমে পড়বেন মোহাম্মদ আশরাফুলরা!