জার্সি নম্বর ১০

ফুটবল মাঠে ১০ নম্বর জার্সিটা সব সময়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আসলে ফুটবলে জার্সির বিন্যাসটাই খুব সিরিয়াসলি করা হয়। সে তুলনায় ক্রিকেটে জার্সির পেছনের সংখ্যাটা অনেকাংশেই খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়।

ফুটবল মাঠে ১০ নম্বর জার্সিটা সব সময়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আসলে ফুটবলে জার্সির বিন্যাসটাই খুব সিরিয়াসলি করা হয়। সে তুলনায় ক্রিকেটে জার্সির পেছনের সংখ্যাটা অনেকাংশেই খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়।

তাই ফুটবলের মত সব সময় প্রতি দলে ‘১০’ সংখ্যাটা নিয়মিত থাকে না। যদিও, ক্রিকেটের ইতিহাসে কিংবদন্তিতুল্য অনেক ক্রিকেটারই আকর্ষণীয় ও আইকনিক এই সংখ্যাটা গায়ে জড়িয়েছেন। তাঁদের নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন।

  • শচীন টেন্ডুলকার (ভারত)

তাঁকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। শুধু ভারত নয়, বলা হয় তিনি খোদ ক্রিকেটের ইতিহাসেই সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান। ২৪ বছরের লম্বা ক্যারিয়ারে সাড়ে ছয়শো’র ওপর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ক্রিকেটে তিনি একমাত্র ব্যাটসম্যান যার একশোটি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি আছে। রান করেছেন প্রায় ৩৫ হাজার। শচীন খেলেছেন ১০ নম্বর জার্সি পরে, তবে ক্যারিয়ারে এর আগে ৯৯ বা ৩৩ নম্বর জার্সি গায়ে চাপিয়েও খেলেছেন লিটল মাস্টার। তাঁর পরে ভারতীয় দলে কেবল শার্দুল ঠাকুরই ১০ নম্বরটা গায়ে তুলতে পেরেছিলেন, তবে দর্শক সেটা গ্রহণ করেনি। তাঁকে বিস্তর সমালোচনা সইতে হয়েছে।

  • শহীদ আফ্রিদি (পাকিস্তান)

এই নামটাও কম আলোচিত নয়। শহীদ আফ্রিদি সেই ১৯৯৫-৯৬ মৌসুম থেকে শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেট খেলছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও তিনি খেলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট। শুধু খেলেনই না। এই বয়সে এসে পারফরমও করেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো ‘বুমবুম’ আফ্রিদি পাকিস্তানের হয়ে ২৭ টি টেস্ট, ৯৯ টি টি-টোয়েন্টি ও ৩৯৮ টি ওয়ানডে খেলেছেন। সেখানে তিনি ১১ হাজার রান ও সাড়ে পাচশো উইকেট নিয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৬ সালে পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন তিনি। সেই হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছিলেন ২০ বছর।

  • খালেদ মাসুদ পাইলট (বাংলাদেশ)

বাংলাদেশের ইতিহাসে যে তিনিই সেরা উইকেটরক্ষক – সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। নিজের সময়ে তিনি উপমহাদেশেও ছিলেন অন্যতম সেরা। লোয়ার মিডল অর্ডারে কার্য্যকর বেশ কিছু ইনিংসে প্রায়ই তিনি বাংলাদেশকে লজ্জা থেকে বাঁচাতেন। খেলতেন তিনি ১০ নম্বর জার্সি পরে। বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক ৪৪ টি টেস্ট ও ১২৬ টি ওয়ানডে খেলে জাতীয় দলের হয়ে তিন হাজারের ওপর রান করেছেন। আছে একটি সেঞ্চুরি ও ১০ টি হাফ সেঞ্চুরি। বাংলাাদেশ জাতীয় দলকে তিনি প্রায় এক যুগ সার্ভিস দিয়েছেন। তাঁর অধীনে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপও খেলে বাংলাদেশ, যদিও সেখানে ভরাডুবি হয় দলের।

  • অ্যালান ডোনাল্ড (দক্ষিণ আফ্রিকা)

‘সাদা বিদ্যুৎ’ খ্যাত অ্যালান ডোনাল্ড দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার। ১২ বছরের ক্যারিয়ারে খেলেছেন ৭২ টি টেস্ট ও ১৬৪ টি ওয়ানডে। সব ফরম্যাট মিলিয়ে পেয়েছেন ৬০০’র বেশি উইকেট। অ্যালান ডোনাল্ড খেলতেন ’১০’ নম্বর জার্সি পরে। তিনি যাওয়ার পর আজকাল ‘কিলার মিলার’ খ্যাত ডেভিড মিলারকে দেখা যায় ১০ নম্বর জার্সি পরতে।

  • ক্রেইগ ম্যাকমিলান (নিউজিল্যান্ড)

নিউজিল্যান্ডের হয়ে সব ফরম্যাটে খেলা সাবেক এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানের শরীরে শোভা পেত এই আইকনিং নম্বর। ৫৫ টি টেস্ট, ১৯৭ টি ওয়ানডে আর আটটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি ব্ল্যাক ক্যাপদের হয়ে। সব ফরম্যাট মিলিয়ে আট হাজারের মত রান করেছেন তিনি। কার্য্যকর মিডিয়াম পেসও করতেন বোলিংয়ের পাশাপাশি। খেলোয়াড়ি জীবন শেষ করে টপ অর্ডারের এই ব্যাটসম্যান মন দিয়েছেন ক্রিকেট কোচিংয়ে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...