‘আমার স্ত্রীর নাম নিলে তোমার জিহ্বা আমি টেনে ছিড়ে ফেলব’

যদি স্লেজিংয়ের কোনো প্রতিযোগিতা থাকতো, তবে নিশ্চিতভাবেই গ্লেন ম্যাকগ্রা আর রামনারেশ সারওয়ানের ঘটনাটি বিজয়ী হত। এমন উত্তেজনা অন্য কোনো ম্যাচে দেখেনি ক্রিকেট বিশ্ব।

যদি স্লেজিংয়ের কোনো প্রতিযোগিতা থাকতো, তবে নিশ্চিতভাবেই গ্লেন ম্যাকগ্রা আর রামনারেশ সারওয়ানের ঘটনাটি বিজয়ী হত। এমন উত্তেজনা অন্য কোনো ম্যাচে দেখেনি ক্রিকেট বিশ্ব। দুই জনের কথার লড়াই তীব্র ঝাঁঝ ছড়িয়েছিল ক্রিকেট ময়দানে।

নিঃসন্দেহে গ্লেন ম্যাকগ্রা সর্বকালের সেরা বোলারদের একজন। নব্বইয়ের দশকে ছিলেন তুঙ্গে। তাঁর বোলিংয়ের উপর ভর করেই অসংখ্য ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বিশেষ করে ১৯৯৯-২০০৭ সালের সময়টায়। প্রতিপক্ষের কাছে শুধু ম্যাকগ্রার বলই ভয়ঙ্কর ছিল না। বরং ম্যাকগ্রার মুখের কথাও ভয় জাগাতো প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের মনে।

২০০৩ সালের দিকে তাকালে লক্ষ্য করা যায় প্রতিপক্ষকে উস্কানি দেয়াটা ম্যাকগ্রার অভ্যাসে পরিণত হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজে সফরকালীন অ্যান্টিগাতে ক্যারিবিয়ান রামনারেশ সারওয়ানকে বিরক্ত করতে থাকেন ম্যাকগ্রা। দ্বিতীয় ইনিংসে উইন্ডিজরা চার উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রান করে। তবুও সারওয়ান তাঁর দলকে কক্ষপথে রাখার চেষ্টা করছিলেন।

উত্তেজনা পূর্ণ এই অবস্থায় সারওয়ানের কাছে যান ম্যাকগ্রা। তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ‘ব্রায়ান লারার (গোপন) অঙ্গের স্বাদ কেমন? সারওয়ানও পাল্টা জবাব দেয়। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না। তোমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করো।’ উল্লেখ্য ঐ সময়টাতে ম্যাকগ্রার স্ত্রী দুরারোগ্য ক্যান্সারে ভুগছিলেন।

Ramnaresh Sarwan.

তাই এই কথা শুনে ম্যাকগ্রা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তেড়ে যান সারওয়ানের কাছে। তিনি বলেন, ‘তুমি যদি আমার স্ত্রীর কথা আরেকবার উচ্চারণ কর, তাহলে আমি তোমার জিহ্বা টেনে ছিড়ে ফেলব।’ রীতিমত উত্তাপ ছড়িয়েছিল সেই ঘটনা। কেননা অসুস্থ স্ত্রী বেজায় স্পর্শকাতর এক বিষয়ই ছিলেন ম্যাকগ্রার কাছে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...