চাওলার বুড়ো হাড়ের ভেলকি

সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে দারুণ বোলিংয়ের নৈপুণ্য দেখিয়েছেন এই লেগ স্পিনার।

অগাধ প্রতিভা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেছিলেন পিযুষ চাওলা, ভারতীয় দলে খেলেছিলেন দাপটের সাথেই। কিন্তু সেসব এখন বহু অতীতের কথা; অনেক আগেই আকাশী-নীল জার্সি হারিয়েছিলেন তিনি, সবশেষ ২০১২ সালে টিম ইন্ডিয়ার একাদশে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) নজর রাখলে ঠিকই তাঁর ঝলক দেখা যায়।

২০২১ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলে নিয়েছিল এই বোলারকে। প্রথম মৌসুমে কেবল এক ম্যাচ সুযোগ পেয়েছিলেন অবশ্য, তবে পরের মৌসুমে বদলে যায় চিত্র। টানা সুযোগ দেয়া হয় তাঁকে, সেই ভরসার প্রতিদানে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স উপহার দেন তিনি। চলতি আসরেও একই দৃশ্যের মঞ্চায়ন ঘটছে, দলটির স্পিন বিভাগের নেতৃত্ব তাঁর হাতেই।

সবশেষ সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে দারুণ বোলিংয়ের নৈপুণ্য দেখিয়েছেন এই লেগ স্পিনার। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে শিকার করেছেন গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেট, আর সেজন্য খরচ করেছেন কেবল ৩৩ রান। তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে হায়দ্রাবাদের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল।

এগারোতম ওভারে প্রথম চাওলাকে আক্রমনে এনেছিলেন মুম্বাই দলপতি হার্দিক পান্ডিয়া। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতেই ইনফর্ম ট্রাভিস হেডের উইকেট তুলে নেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, বিধ্বংসী হেনরিখ ক্লাসেনকেও এদিন দুই রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফেরান। স্পিনের বিপক্ষে সবচেয়ে পারদর্শী ব্যাটারদের দু’জন যেভাবে তাঁর বিপক্ষে পরাস্ত হয়েছেন সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়।

ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে কোন উইকেট না পেলেও নিজের শেষ বলে আবারো স্কোরবোর্ডে নাম তোলেন এই ডানহাতি। এবার তাঁর শিকার হতে হয় ফিনিশার আবদুল সামাদকে – অর্থাৎ তিন তিনজন হার্ডহিটারকে একাই আউট করেছেন তিনি। প্যাট কামিন্সদের দলীয় সংগ্রহ যে মুম্বাইয়ের হাতের নাগালে রয়ে গিয়েছে সেটার কৃতিত্ব তাই তাঁকে দিতেই হয়।

ক্রিকেটের কাছে এই বর্ষীয়ান তারকার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। তবু সবুজ মাঠে তিনি লড়াই করছেন একেকটা উইকেটের জন্য, একেকটা ডট বলের জন্য সেটি খেলার প্রতি তাঁর নিখাঁদ ভালবাসার সাক্ষ্য দেয় – তাই তো তাঁকে সম্মান করার ক্ষেত্রে কমতি নেই সমর্থকদের।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...