সবাই গোয়েঙ্কা নন, কেউ কেউ শাহরুখ হন!

এটা অভাবনীয় কোনো দৃশ্য নয়। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বানিজ্য মাথায় রাখলে একে একেবাড়ে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে, নি:সন্দেহে দৃষ্টিকটু।

এটা অভাবনীয় কোনো দৃশ্য নয়। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বানিজ্য মাথায় রাখলে একে একেবাড়ে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে, নি:সন্দেহে দৃষ্টিকটু।

লখনৌ সুপার জায়ান্ট ও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ম্যাচ শেষে প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে আপাতত ক্রিকেটমহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে হায়দ্রাবাদের কাছে বিধ্বস্ত হ‌ওয়ার পর লখনৌয়ের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা দলের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে তীব্র ভৎর্সনা করছেন।

ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের কাছে ১০ উইকেটে হারে লখনৌ। লখনৌয়ের ১৬৬ রানের লক্ষ্য মাত্র ৯.৪ ওভারেই টপকে যায় হায়দ্রাবাদ, তাও বিনা উইকেটে।

সঞ্জীব গোয়েঙ্কা কি বলছেন, সেটা ভিডিও দেখে বোঝার উপায় নেই। তবে, লোকেশ রাহুলের অসহায় চাহনীতে পরিস্কার যে, সঞ্জীব সাহেব সহজ কোনো কথা বলছিলেন না।

একথা অনুমান করার যথেষ্ট কারণও আছে। দশ উইকেটে শোচনীয় হারের দায়ভার অধিনায়কের ওপর চাপাতে নিশ্চয়ই চাইছেন দলের মালিক। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে এই ধরনের আচরণ একেবারে অপ্রত্যাশিত নয়। তবে, শোভনীয় নয়। আর সর্বসমক্ষে অধিনায়ককে ‘চার্জ’ করাটা দৃষ্টি কটু।

এটা সঞ্জীব গোয়েঙ্কার নিজের পদমর্যাদার পক্ষেও শোভনীয় হত। মিডিয়া ও ব্রডকাস্টিং চ্যানেলের আওতার বাইরে ড্রেসিং রুমের রূদ্ধদ্বার কক্ষে এই ঘটনাটি ঘটলে হয়ত তার প্রভাব এতটা সুদূরপ্রসারী হত না।

আর এটাও মাথায় রাখা দরকার যে, এই লোকেশ রাহুল লোকটা নিজেও কম ওজনদার নন। ভারতের জাতীয় দলকেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর তাঁর ক্রিকেট জ্ঞান ও গেম অ্যাওয়ারনেস নি:সন্দেহে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার চেয়ে বেশি। আবার এটাও ঠিক, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে এত কিছুর ধার ধারার বিলাসিতা কারও নেই।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, এই প্রসঙ্গে খোদ শাহরুখ খানের উদাহরণ আসছে। নেটিজেনরা বোঝাতে চাইছেন নাইট রাইডার্স মালিকের সৌজন্যবোধ এক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক হিসেবে অনুসরণযোগ্য। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে অপ্রত্যাশিত পরাজয়ের পর‌ও বলিউড বাদশা মেজাজ হারাননি একেবারেই।

সাজঘরে ফিরে নাইট সদস্যদের পরের ম্যাচের জন্য মনোসংযোগ করতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। দল হারুক বা জিতুক, কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাথেই থাকেন শাহরুখ খান। লখনৌ মালিক চাইলে কিং খানকে দেখেও শিখতে পারেন। শাহরুখকে কেন্দ্র করে এমন খবর কখনওই প্রকাশ্যে আসেনি।

কিন্তু, দিন শেষে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা পুরোদস্তর ব্যবসায়ী। আর শাহরুখ খান ‘পিপলস ফেস’। একজন ব্যবসায়ী পাবলিক সেন্টামেন্ট তিনি বুঝবেন না, তিনি এর ধারও ধারবেন না। কিন্তু, শাহরুখ-প্রীতি জিনতারা বুঝবেন।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...