প্রভসিমরান সিং, ঐ নতুনের কেতন ওড়ে

এই তরুণ আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলকে এনে দিয়েছেন জয়ের আত্মবিশ্বাস, সেই সাথে বুঝিয়ে দিয়েছেন নিজের প্রতিভা। 

কলকাতা নাইট রাইডার্স যখন ২৬২ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল পাঞ্জাব কিংসের দিকে, তখন মনে হয়েছিল একতরফাভাবেই জিততে চলেছে শ্রেয়াস আইয়ারের দল। কেননা, পাঞ্জাবে ব্যাটিং লাইনআপে বলার মত হার্ডহিটার কেউই ছিলেন না; জনি বেয়ারস্টোর মত ক্রিকেটারও ছন্দহীন ছিলেন। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণ করে দারুণভাবে লড়াই করেছে দলটি, যার নেপথ্যে প্রভসিমরান সিং।

শিখর ধাওয়ান ইনজুরির কারণে ছিটকে যাওয়ার ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি; আর সেই সুযোগ দু’হাতে কাজে লাগিয়েছেন কলকাতার বিপক্ষে। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলকে এনে দিয়েছেন জয়ের আত্মবিশ্বাস, সেই সাথে বুঝিয়ে দিয়েছেন নিজের প্রতিভা।

এদিন এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে মাত্র ২০ বলে এসেছে ৫৪ রান। চারটি চারের পাশাপাশি পাঁচটি বিশাল ছয়ে ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। নিজে পারফরম করেই ক্ষান্ত হননি, বেয়ারস্টোকে রানে ফেরানোর ক্ষেত্রেও পরোক্ষ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর ইতিবাচক ব্যাটিংয়ের ফলেই চাপ সরে গিয়েছিল বেয়ারস্টোর ওপর থেকে, সেজন্যই স্বরূপে ফিরতে পেরেছেন ইংলিশ তারকা।

প্রথম থেকেই ভয়ডরহীন মানসিকতা ধারণ করেছিলেন প্রভসিমরান; হার্শিত রানার ওভারে দুই ছক্কা মেরে শুরু। এরপর আর মুহূর্তের জন্য থামেননি তিনি; দুষ্মন্ত চামিরার এক ওভারে আদায় করেছেন ২২ রান। হাফসেঞ্চুরি তুলে নেয়ার জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁকে, ইনিংসের কেবল পঞ্চম ওভারেই ব্যক্তিগত মাইলফলক পূর্ণ হয় তাঁর।

যদিও দুর্দান্ত একটা দিনে ভাগ্য ছাড় দেয়নি এই ওপেনারকে, পাওয়ার প্লের শেষ বলে ঝুঁকিপূর্ণ রান নিতে গিয়ে কাটা পড়েন তিনি। যদিও আউট হওয়ার আগে দলকে জয়ের পথ চিনিয়ে দিয়েছেন ঠিকই; তাঁর গড়ে দেয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে বেয়ারস্টো-রাইলি রুশো ঝড় তুলেছেন।

চলতি আইপিএলে অন্যতম আবিষ্কার এই প্রতিভাবান তরুণ; পাঞ্জাবের জার্সিতে সুযোগ পেয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছেন তিনি। ধারাবাহিকভাবে পারফরম করেছেন, তাঁর সবচেয়ে বড় গুণ সম্ভবত ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ের মানসিকতা – আধুনিক টি-টোয়েন্টিতে এটিই বেশি প্রয়োজন।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...