ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে বেয়ারেস্টোর ভয়ঙ্করতম প্রত্যাবর্তন

চলতি আইপিএলে জশ বাটলার, ফিল সল্টরা আছেন দারুণ ছন্দে। সেই তুলনায় জনি বেয়ারস্টো পিছিয়ে ছিলেন যোজন যোজন।

চলতি আইপিএলে জশ বাটলার, ফিল সল্টরা আছেন দারুণ ছন্দে। ইতোমধ্যে দুই সেঞ্চুরির মালিক বনে গিয়েছেন বাটলার, অন্যদিকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রায় সব জয়েই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন সল্ট। সেই তুলনায় জনি বেয়ারস্টো পিছিয়ে ছিলেন যোজন যোজন, একের পর ব্যর্থতা উপহার দিয়েছিলেন।

তবে শেষমেশ ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন তিনি; দেখিয়েছেন নিজের সবচেয়ে ভয়ঙ্করতম রূপ। আর সেজন্য বেছে নিয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচকেই। তাঁর অতিমানবীয় সেঞ্চুরিতে দলটির ছুঁড়ে দেয়া ২৬১ রানের টার্গেট অনায়াসে পেরিয়ে গিয়েছে পাঞ্জাব কিংস, টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এত রান তাড়া করে আর কেউই জিততে পারেনি।

সবমিলিয়ে ৪৮ বল মোকাবিলা করেছেন এই ব্যাটার, তাতেই করেছেন ১০৮ রান। আটটি চারের বিপরীতে নয় নয়টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। লম্বা সময় পর তাঁর কাছ থেকে দেখা গিয়েছে এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, ইংল্যান্ডের সমর্থেকরা তাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেই পারেন।

এদিন প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছিল ইংলিশ তারকাকে, খানিকটা রয়েসয়ে খেললেও চোখেমুখে ছিল দারুণ কিছু করে দেখানোর ইঙ্গিত। সেটারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে ষষ্ঠ ওভারে, অনুকূল রয়ের পাঁচ বল থেকেই ২৪ রান আদায় করেন তিনি – কয়েক ওভার পরেই চলতি আইপিএলে নিজের প্রথমবারের হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে দেখা হয় তাঁর।

এরপর আরো আগ্রাসী হয়ে উঠেন এই ডানহাতি, একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয়ের কঠিন সমীকরণ সহজ করে তুলেন তিনি। ২৪ বলে ব্যক্তিগত পঞ্চাশ করার ২১ বল পরেই পেয়ে যান সেঞ্চুরির স্বাদ। পাঞ্জাবের ইতিহাসে এটি তৃতীয় দ্রুততম শতকের কীর্তি। রাইলি রুশোর সঙ্গে তাঁর ৮৫ রানের জুটিই মূলত ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছিল সফরকারীদের।

শেষদিকে অবশ্য শশাঙ্ক সিং আরো একবার জ্বলে উঠেন, অনবদ্য পাওয়ার হিটিংয়ে কলকাতার জয়ের সব আশা শেষ করে দেন তিনি। তাঁর ২৮ বলে ৬৮ রানের টর্নেডা ইনিংসে আট উইকেট হাতে রেখে আর্শদীপ, জীতেশরা। যদিও জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন বেয়ারস্টো, তাই তো চাইলেই প্রশংসায় ভাসানো যায় তাঁকে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...