অভিষেক পোড়েল, নতুন সম্ভাবনার সূচনা

অভিষেক পোড়েলের ওপর দিল্লি ভরসা করেছিল, তাঁকে সময় আর সুযোগ দিয়েছিল নিজের জায়গা করে নেয়ার। খানিকটা দেরিতে হলেও সুযোগ কাজে লাগানো শিখেছেন তিনি।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) মানেই তরুণদের লাইমলাইটে উঠে আসার মঞ্চ; প্রতি আসরে কেউ না কেউ আলো কেড়ে নেন ব্যাটে-বলে পারফরম করে। এবার সেই মঞ্চে নিজেকে চেনানোর সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করতে বসেছিলেন অভিষেক পোড়েল – তবে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে হুট করেই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি; রেখেছেন প্রতিভার ছাপ।

২০২৩ সালের আইপিএল দিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের শিবিরে আগমন ঘটেছিল এই তরুণের। প্রথম মৌসুমে খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি, তবে চলতি আসরে ধারাবাহিকভাবে একাদশে জায়গা পাচ্ছেন তিনি। যদিও শুরুর নয় ইনিংস খেলেও হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি একটিও, শেষমেশ অবশ্য বড় রান পেয়েছেন রাজস্থান ম্যাচে।

এদিন ৩৬ বলে ৬৫ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলেছেন এই ব্যাটার; সাত চার ও তিন ছয়ে সাজানো ইনিংসটিতে স্ট্রাইক রেট ছিল ১৮০ এর বেশি। টপ অর্ডার থেকে ঠিক যেরকম ইনিংস আশা করে টিম ম্যানেজম্যান্ট ঠিক সেরকমটাই উপহার দিয়েছেন তিনি। তাঁর পারফরম্যান্সে ভর করেই ২২১ রানের বিশাল পুঁজি পেয়েছে দিল্লি।

ওপেনিংয়ে নেমে এদিন শুরুটা ধীরেসুস্থেই করেছিলেন এই বাঁ-হাতি। অন্যপ্রান্তে ঝড় তোলা জেক ফ্রেসার ফ্রেসার ম্যাকগার্ককে সঙ্গ দিয়েছিলেন তখন। তবে অজি তরুণ প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার পর হাত খুলে খেলতে শুরু করেন তিনি, প্রায় প্রতি ওভারে বাউন্ডারি আদায়ের মধ্য দিয়ে রানের গতি সচল রাখেন।

 

এগারোতম ওভারে আভেশ খানকে বিশাল এক ছক্কা বানিয়ে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন এই ওপেনার। আইপিএল ক্যারিয়ারে এটিই তাঁর প্রথম ফিফটি, এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি বাইশ গজে। তবে আউট হওয়ার আগে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন ঠিকই।

 

অভিষেক পোড়েলের ওপর দিল্লি ভরসা করেছিল, তাঁকে সময় আর সুযোগ দিয়েছিল নিজের জায়গা করে নেয়ার। খানিকটা দেরিতে হলেও সুযোগ কাজে লাগানো শিখেছেন তিনি, এখন ধারাবাহিক হওয়ার পালা। এই শর্ত পূরণ করতে পারলেই রিয়ান পরাগ, তিলক ভার্মাদের মত তারকা হয়ে উঠতে পারবেন তিনি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...