জেক ফ্রেসারের তান্ডবলীলা চলছেই

টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ম্যাকগার্ককে রাখেননি নির্বাচকরা, সেই ক্ষোভই বোধহয় রাজস্থান রয়্যালসের ওপর ঝাড়লেন। 

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি আসরে ট্রাভিস হেড রীতিমতো তান্ডব চালাচ্ছেন। এই অজি ওপেনারের সাথে পাল্লা দিয়ে ঝড় তুলতে শুরু করেছিলেন তাঁরই স্বদেশী জেক ফ্রেসার ম্যাকগার্ক। পূর্বসূরির মত তিনিও কোন ভয়ডর ছাড়াই চড়াও হতে শিখেছেন প্রতিপক্ষের ওপর। তবু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁকে রাখেনি নির্বাচকরা, সেই ক্ষোভই বোধহয় রাজস্থান রয়্যালসের ওপর ঝাড়লেন।

শুরুতে দল না পেলেও লুঙ্গি এনগিদির চোটের কারণে বদলি হিসেবে দিল্লি ক্যাপিটালস স্কোয়াডে ভিড়িয়েছিল এই তরুণকে। সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেছেন; আইপিএলের অভিষেকেই করেছিলেন হাফসেঞ্চুরি। এরপর একে একে উপহার দিয়েছেন অনবদ্য সব ইনিংস। এরই ধারাবাহিকতায় এবার রাজস্থানের বিপক্ষে তাঁর কাছ থেকে দেখা গেলো অতিমানবীয় ব্যাটিং।

এদিন মাত্র ২০ বল ক্রিজে টিকেছিলেন এই ব্যাটার; আর তাতেই হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। অর্থাৎ ২৫০ স্ট্রাইক রেটে অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। এসময় সাতটি চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কা এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে, অর্থাৎ বাউন্ডারি থেকেই প্রায় ৯২ শতাংশ রান আদায় করেছেন।

বরাবরের মতই শুরু থেকে ম্যাকগার্ক ছিলেন অতি আগ্রাসী। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম ওভারে হাত খুলতে না পারলেও কিউই পেসারের দ্বিতীয় ওভারে নিজের আসল রূপ দেখান তিনি। তবে তাঁর তান্ডব সবচেয়ে বেশি টের পেয়েছেন আভেশ খান, রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে তরুণ পেসারকে।

আভেশের এক ওভার থেকে গুণে গুণে ২৮ রান আদায় করেছেন অজি ওপেনার, এরই মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। মজার ব্যাপার, দলের রান তখন ছিল মাত্র ৫৯! অবশ্য নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন এই ডানহাতি, রবিচন্দন অশ্বিনের ফুল টস বলে যেভাবে আউট হয়েছেন সেটি হতাশাজনক বটে। তা নাহলে নিশ্চয়ই আরো বিধ্বংসী হয়ে উঠতেন তিনি।

তবে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয়ার কাজটা ঠিকই করে দিয়েছেন এই উদীয়মান তারকা। যদিও আলাদা করে বলার দরকার নেই, আইপিএলে সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই ভয়ডরহীন মানসিকতায় এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর ব্যাটে ছড়ে প্রায় প্রতি ম্যাচেই মোমেন্টাম পাচ্ছে দিল্লি, এখন শুধু ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পালা।

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...