তিনি উপমহাদেশীয় নন বলে তাঁকে নিয়ে নিত্য নতুন কাব্য রচনা করা হয় না। তবে, সেসব নিয়ে আক্ষেপ থাকার কথা নয় প্যাট কামিন্সের। তিনি যে অজি ঐতিহ্যের ধারক। প্রচার প্রচারণায় নয়, তিনি নিজের পেশাদারিত্বে বিশ্বাস রাখেন।
তাঁর পেশাদারিত্ব বলে, ভারতীয় আগ্রাসনের জবাব দিতে হবে। সিডনিতে যখন প্রকাণ্ড হয়ে উঠবে ঋষাভ পান্তের ব্যাট, তখন তাঁকে আটকে ফেলতে হবে। আহমেদাবাদে বিরাট কোহলির উইকেট পেতে হবে, বিশ্বকাপ ফাইনালে ভেঙে দিতে হবে ভারতে মেরুদণ্ড, স্তব্ধ করে দিতে হবে গোটা ভারতবর্ষকে।
ভারতের বিপক্ষে খেলতে হলে কথার লড়াই চলবেই। মোহাম্মদ সিরাজরা বল ছুড়ে মারবেন, জাসপ্রিত বুমরাহ তেড়ে আসবেন, বিরাট কোহলি এসে তরুণ স্যাম কন্সটাসকে ধাক্কা দিয়ে বসবেন। এসব কিছুর জবাব দিতে হবে পারফরম্যান্স দিয়ে।
অস্ট্রেলিয়ান মানসিকতাই এমন। এখানে স্লেজিংকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যেমন আছে, তেমনি আছে অবারিত সাফল্য। আর সেই সাফল্যের ধারক ও বাহক আপাতত এই প্যাট কামিন্স। একজন অজি দলপতি হিসেবে যা যা অর্জন করা সম্ভব – তাঁর প্রায় সবটাই করে ফেলেছেন কামিন্স।
কি নেই তাঁর? বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন। আরেকটা আসরের ফাইনাল খেলার অপেক্ষায় আছেন। ভারতের মাটিতে ভারতকে কাঁদিয়ে জিতেছেন ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা। অ্যাশেজ জিতেছেন, উড়িয়ে দিয়েছেন ইংলিশ লায়ন্সদের। ১০ বছর পর অজিদের হাতে তুলে দিলেন বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির শিরোপা।
বাকি রইল কেবল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আসছে বছর, মানে ২০২৬ সালেই ২০ ওভারের ক্রিকেট শ্রেষ্ঠত্বের আরেকটা লড়াই। আবারও আয়োজক ভারত। আবারও কি ভারতকে কাঁদাবেন কামিন্স? আরেকটিবার কি উড়বে অজি বীরত্বের পতাকা? হ্যাঁ, কাব্য হবে না জেনেও সেই চেষ্টাতেই আবারও এক জোট হয়ে লড়বে ক্যাঙ্গারু বাহিনী।