সুপার এইটের প্রথম ম্যাচ, সামনে বিশাল লক্ষ্য, তার উপর প্রতিপক্ষে মঞ্চে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ; অদৃশ্য চাপের কথা অস্বীকার করা যাবে না মোটেও। তবে ইংলিশ ব্যাটার ফিল সল্ট তা মোকাবেলা করলেন বেশ সাবলীল ভাবেই।
হোক ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) কিংবা জাতীয় দল, সল্টের ব্যাটে কমবেশি রান ছিল সবসময়। তাঁর প্রমাণ মিললো আরো একবার। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ২২ গজে থেকে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়লেন ইংলিশ ব্যাটার ফিল সল্ট। আন্দ্রে রাসেল-রোভম্যান পাওয়েলদের বিপক্ষে খেললেন গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস।
যদিও চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরুতেই হোচট খেয়েছিল জশ বাটলার বাহিনী। তবে পরে অবশ্য ঠিকই ঘুরে দাড়িয়েছে তাঁরা। সল্টেরদের যে জানা আছে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়।
সল্ট পুরো ইনিংস জুড়ে ইংলিশদের ঢাল সরূপ আগলে রেখেছেন এক প্রান্ত। শুরুতে দলপতি জশ বাটলারের সাথে গড়ে তোলেন পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি। তবে বাটলার প্যাভিলিয়নে ফিরলেও স্থির থাকেন সল্ট। ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী তাঁর সঙ্গী হোন বেশ অল্প সময়ের জন্য।
তবে ক্রিজে ইংলিশ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জনি বেয়ারস্টো আসলে, আবারো যেন ইংলিশ শিবিরে রানের চাকা সচল হতে শুরু করে। দুই জন মিলে ক্যারিবিয়ান বোলারদের লাইন-লেন্থে বেসামাল করে দেন। গড়েন ৯৭ রানের জুটি।
সল্টের ইনিংস জুড়ে ছিল চার-ছক্কার সমাহার। ৭ টি চার এবং ৫ টি ছক্কায় তিনি করেন ৮৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। আর এই ইনিংস খেলতে খরচ করেন ৪৭ বল, যেখানে স্ট্রাইক রেট ছিল ১৮৫’র ঘরে। এক কথায় অসাধারণ পারফর্ম্যান্স দেখিয়েছেন এই ইংলিশ ব্যাটার। দিন শেষে তাঁরা অতিক্রম করেন ১৮১ রানের লক্ষ্য আর ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন এই দুই ইংলিশ ব্যাটার।
সুপার এইটের শুরুতেই স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয়, ইংলিশ শিবিরে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে বেশ সাহায্য করেছে। আর ফিল সল্টও জানান দিলেন তিনিও রাখলেন দলের জয়ে বিশেষ ভূমিকা। তাইতো আগামী মেচেগুলোতে তাঁর উপর কিছুটা বাড়তি প্রত্যাশাই থাকবে ক্রিকেট ভক্তদের।