পাকিস্তান ক্রিকেটে আবারো আলোচনায় কেন্দ্রীয় চুক্তি। বহু জলঘোলার পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ক্রিকেটারদের সব দাবি মেনে নিয়ে ৪ ক্যাটাগরিতে ৩০ ক্রিকেটারকে কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় এনেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে মাস দুয়েক না পেরোতেই দেখা দিয়েছে জটিলতা।
মূলত এই চুক্তি কার্যকর হয়েছে এ বছরের জুন মাস থেকেই। স্বাভাবিক ভাবেই জুন থেকে প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই ৪/৫ মাসের বেতন পাওয়ার কথা। তবে বিশ্বকাপের অর্ধেক পথ পেরিয়ে গেলেও সেই বেতন বকেয়াই থেকে গিয়েছে।
এ ছাড়া ডি ক্যাটাগরি তে থাকা অনেক ক্রিকেটারই এই চুক্তিতে ঠিক সন্তুষ্ট নয়। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা এমন কিছু ক্রিকেটার তাদের অসন্তুষ্টির কথাও প্রকাশ করেছেন।
এ দিকে গুঞ্জন আছে, বিশ্বকাপ চলাকালে ক্রিকেটাররা মোটেও পিসিবির পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সাহায্য পাননি। যদিও সেটি বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে পিসিবি। বকেয়া বেতনের ব্যাপারে তাদের বক্তব্য, এটি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে। ক্রিকেটারদের মেইলে তা জানানোও হয়েছে। শুধুমাত্র কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি।
তবে এমনও গুঞ্জন উঠেছে, বিশ্বকাপে আশানুরূপ পারফর্ম করতে না পারায় পাকিস্তানের একাধিক ক্রিকেটার কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়তে পারেন। এ ছাড়া বাবরকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার খবরও শোনা গিয়েছে। পাকিস্তানের একাধিক সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, তাঁর বদলে টেস্ট ফরম্যাটে সরফরাজ আহমেদকে জাতীয় দলের নেতৃত্বে ফেরানো হতে পারে।
এবারের বিশ্বকাপে শুরুটা দারুণ হয়েছিল পাকিস্তানের। প্রথম দুই ম্যাচে জিতে রীতিমত উড়ছিল বাবর-রিজওনারা। তবে পাকিস্তানের সেই উড়ন্ত যাত্রা থেমে গেছে টানা ৪ পরাজয়ে। পরাজয়ের বৃত্তে বন্দী পাকিস্তানের সেমির রাস্তাটাও তাই কঠিন হয়ে গেছে। অনুমিতভাবেই তাই মাঠের ক্রিকেটের এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্স রূপ নিচ্ছে, আলোচনা, সমালোচনা আর বিতর্কে।