বাইশ গজের ক্রিকেটে হঠাতই আলোচনায় ‘টাইমড আউট’। ১৪৬ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে যা শুধু নিয়মেই লিপিবদ্ধ ছিল, তা এখন বাস্তব। প্রথম ব্যাটার হিসেবে এমন বিরল আউটের শিকার হয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। যা নিয়ে বিতর্কের রেশ থামেনি এখনও। বরং দু’দিন আগে হেলমেট বিভ্রাটে টাইমড আউট ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে বসেছিল ইংল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস ম্যাচেও।
ইংল্যান্ড ইনিংসের ৩৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আরিয়ান দত্তের বলে আউট হন মঈন আলী। ঐ ওভারের তৃতীয় বল খেলতে নেমেছিলেন ক্রিস ওকস।কিন্তু মাঠে নেমেই তিনি বুঝতে পারলেন, হেলমেটে সমস্যা আছে তাঁর।
তবে ইংলিশ এ অলরাউন্ডার ম্যাথুসের মতো ভুল করেননি। খুব দ্রুতই তিনি আম্পায়ারের কাছে সমস্যার কথা বলেন। অনফিল্ড আম্পায়ার এহসান রাজাও ওকসের এমন অনুরোধ ফেরাতে পারেননি।
এরপর ওকসের জন্য আনা হয় নতুন হেলমেন্ট। এ সময়ে বেশ কিছুটা হাসাহাসিও করতে দেখা যায় ওকসকে। ম্যাথুসের টাইমড আউট হওয়ার পর যে সবাই এখন সতর্ক অবস্থানে, তা ভালোভাবেই টের পাওয়া গেল এ দিন।
গত সোমবার বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে ব্যাটার সাদিরা সামারাবিক্রমার ক্যাচ আউটের পর নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে এসেছিলেন ম্যাথুস। তবে ক্রিজে গিয়ে দেখেন, তাঁর হেলমেটের স্ট্যাপ ছেঁড়া। এরপরি ডাগআউটের দিকে ইশারা করে নতুন হেলমেট আনতে বলেন ম্যাথুস। তবে ততক্ষণে পেরিয়ে গেছে দুই মিনিট।
এ সময় বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান টাইমড আউটের আবেদন করলে মারেইস ইরাসমাস আউটের ঘোষণা দেন। ফলত, কোনো না খেলেই বিদায় নিতে হয় ম্যাথুসকে। আর এমন আউটের পরই বিশ্বজুড়ে চলছে আলোচনা, সমালোচনা।
যে বিতর্কের স্রোত এখনো চলছেই। ক্রিকেট গণমাধ্যম ‘ইএসপিএনক্রিকইনফো’ সূত্রে সর্বশেষ জানা গিয়েছে, ম্যাথুস যে টাইমড আউট হতে পারেন, এমন সতর্ক লঙ্কান ব্যাটারকে আগেই করেছিলেন আম্পায়ার ইরাসমাস। তবে ঐ সময় আম্পায়ারের এ সতর্কবাণীর কোনো তোয়াক্কা করেননি ম্যাথুস।