ঠিক যেমনটা হওয়ার কথা ছিল তাই হয়েছে। নামে-ভারে কিংবা মাঠের পারফর্মেন্সে সব দিক থেকেই অনেকটা এগিয়ে ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বাইশ গজেও দেখা গিয়েছে সেই চিত্রই। প্রথমেই লিটন দাস ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের উড়ন্ত শুরু। দলীয় পারফর্মেন্সে ছুটতে থাকা কুমিল্লাকে কখনোই ছুঁয়েই দেখতে পারেনি রংপুর রাইডার্স।
আগে ব্যাট করতে নামা কুমিল্লা শুরুটা করেছিল দারুণ ভাবে। বিশেষ করে লিটন দাস দলটাকে বড় কিছুর স্বপ্নই দেখাচ্ছিলেন। তবে ৪৭ রান করেই ফিরে যেতে হয় লিটনকে। কুমিল্লার হয়ে লিটনই সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস খেলেছেন। কুমিল্লা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট না হারালে হয়তো স্কোরটা প্রায় দুইশো ছুঁই ছুঁই হতে পারত।
তবুও ১৭৭ রানের বিশাল সংগ্রহ তাঁরা করেছে দলীয় পারফর্মেন্সেই। প্রায় সবাই নিজের কাজটা ঠিকঠাক করতে পেরেছে। লিটন আউট হয়ে গেলেও জাকের আলী, খুশদীল শাহরা কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন। খুশদীল মাত্র ২০ বল থেকে করেছেন ৪০ রান। এছাড়া জাকের আলীও ২৩ বল থেকে করেছেন ৩৪ রান।
ফলে মাঠের ক্রিকেটে দর্শকদের জন্য বিনোদনের ঘাটতি হয়নি কখনোই। তবে আজ মিরপুর সেজেছিল নতুন রূপে। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিকে সম্মান জানিয়ে বিশেষ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ধারাভাষ্যকার, উপস্থাপক সবাইকে দেখা গিয়েছে শাড়ি, পাঞ্জাবি পরতে। এছাড়া বিপিএলে বাংলায় ধারভাষ্য দিতেও দেখা গিয়েছে আজ।
তবে মাঠের ক্রিকেটে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি রংপুর রাইডার্স। ১৭৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলটা কখনোই জয়ের জন্য খেলতে পারেনি। বরং তাঁদের ইনিংসের শুরুতেই আক্রমণ করে বসেন কুমিল্লার স্পিনার তানভীর ইসলাম। তাঁর দুই উইকেটে দিশেহারা হয়ে যায় দলটা।
এরপর আর কখনোই ম্যাচে ফিরতে পারেনি তাঁরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নুরুল হাসান সোহানরা। দলটার হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। এছাড়া কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সুনীল নারাইন ও মুস্তাফিজুর রহমানও।
ফলে কুমিল্লার বিপক্ষে বড় ব্যবধানেই হারতে হয়েছে রংপুর রাইডার্সকে। প্রথম তিন ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করা কুমিল্লা ফিরে এসেছে নিজেদের চেনা রূপে। বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা যে এবারো চ্যাম্পিয়ন হতেই এসেছে তাঁর প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে মাঠে ক্রিকেটেও। এই জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফার খেলবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।